স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপনসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে মামলাটি করেন সুনামগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি মোজাহিদ আলী খোকন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা রিমন আহমদ, আসাদ মাসুদ, রফিকুজ্জামান রুহেল, জ্যোতির্ময় বণিক দীপ্ত, রাজন, মতিউর রহমান, শাহরিয়ার নিহান, রেজুয়ান আহমদ নীরব, ফয়সাল আলম, আছকির আলী, হাবিব, প্রবাস পাল, জনি রায়, ছলিম উল্লাহ, আনর মিয়া, আনহার মিয়া, উসমান, সানি মিয়া, নুরুজ্জামান তারেক, জাকারিয়া হোসাইন, মাসুম আহমদ, সায়েক মিয়া, ফাহিম আলম, শোভন আফজাল, আনোয়ার হোসেন, সামন্ত দাস, অপূর্ব দেব।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট যুব অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। এদিন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শান্তিপূর্ণ আলোচনা চলার সময় জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে হামলা চালান। মামলার আসামিরা হাতুড়ি, লোহার রড, হকিস্টিক, ধারালো চাকু দিয়ে যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের আঘাত করে আহত করেন। পরে আহত নেতা-কর্মীদের জেলা পরিষদের রেস্ট হাউসে নিয়ে আটক করে তাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। চাঁদা না দিলে সুনামগঞ্জে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়। পরে আসামিরা নেতা-কর্মীদের মারধর করেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী আশরাফুজ্জামান তুষার বলেন, ছাত্রলীগের হামলা ও চাঁদা দাবির ঘটনার বিভিন্ন সময় বাদী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ন্যায়বিচারের স্বার্থে আজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে এফআইআর গণ্যে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।