স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি আমপাড়া বাজার এলাকার পূর্ব ও উত্তর কোণে অবস্থিত। এই ভবনটি গত ৮ বছর আগে নির্মিত হয়েছে। মাত্র কয়েক বছর যেতে না যেতেই দরজা, জানালা নষ্ট হয়ে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ভবনের দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়েছে। তাই ভবন সংস্কারে জরুরি বরাদ্দ প্রয়োজন বলে দাবি জানাচ্ছেন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যরা।
জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ২০১৬ইং সনে নির্মাণ করা হয়। মাত্র ৮ বছরে দরজা, জানালা, ভবনের দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে। চেয়ার, টেবিলসহ প্রায় সকল আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে পড়েছে। দরজা-জানালা ভেঙে যাওয়ায় ভবনে রাখা আসবাবপত্রের নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে, ৫২ শতক জায়গার উপর নির্মিত ভবনের চারপাশের সীমানা প্রাচীর ছিল না। ইউপি চেয়ারম্যান রসিদ আহাম্মাদ নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারি বরাদ্দে পূর্বে ১৫৮ ফুট দৈর্ঘ্যের বাউন্ডারি দেয়াল, দক্ষিণে ১২২ ফুট এবং উত্তরে ১২২ ফুট দেয়াল নির্মাণ করেন। ভবনের পশ্চিমে ১৮২ ফুটের একটি বাউন্ডারি দেয়াল এবং দুইটি গেইট নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। বাউন্ডারি দেয়াল না থাকায় গাছ-পালা ও ফুলের বাগান গরু-ছাগলে খেয়ে নষ্ট করছে। এই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে রং করা হয়নি। কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। ফলে বিভিন্ন স্থানের প্লাস্টার খসে পড়ছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে যোগাযোগ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা। এই সড়ক দিয়ে বৃদ্ধ পুরুষ ও নারীরা আসা-যাওয়া করতে পারেন না। সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে কাদা জমে থাকে। এই সড়কে চলাচলে প্রতিদিন এলাকার কয়েকটি স্কুলের ও মাদ্রাসার কয়েক শত শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হন। যানবাহন চলাচলেও ঘটে চলেছে নানা দুর্ঘটনা। এটা ইউনিয়ন পরিষদসহ মঙ্গলকাটা বাজার ও আমপাড়া বাজারে এবং অন্যান্য গ্রামে চলাফেরার একটি ভোগান্তির সড়ক। তাই এই সড়কের উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষানুরাগী আবুল কাশেম বলেন, এই সড়কের পাকাকরণের কাজ হয়নি কোনো সময়। মাটি ফেলা হলেও সড়কে টিকে না। বৃষ্টিতে চলে যায় মাটি। পাকাকরণ না হলে ভোগান্তি লেগেই থাকবে।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ঘিরে আছে নানা সমস্যা। ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগের ভাঙা সড়ক, বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ, ভবন মেরামত করাসহ নানা সমস্যা বিরাজ করছে। তা অচিরেই সমাধান জরুরি প্রয়োজন।
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রসিদ আহাম্মাদ জানান, তিনি ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এরপর থেকে সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও নিজের তহবিল থেকে খরচ করে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করেন। ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কারে আরও অনেক কাজ আছে। তা জরুরিভিত্তিতে করতে হবে। এই জন্য আমি বরাদ্দ চেয়েছি। এখনও পাইনি। তিনি আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কারের জন্য ১০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদ তা পায়নি।