সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দলসহ সকল পর্যায়ের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে যৌক্তিক সময়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিদায় নিতে হবে। কেননা, বছরের পর বছর দেরি করলে আগাছা জন্ম নিতে পারে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে, তৃতীয় শক্তির উদ্ভব হতে পারে।
শুক্রবার খুলনার সোনাডাঙ্গার আল ফারুক সোসাইটিতে মহানগর ও জেলা জামায়াত আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের শাসনামলের চিত্র তুলে ধরে আমিরে জামায়াত বলেন, বিডিআর হত্যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রথম ধাপ শুরু হয়। এরপর জামায়াতের ওপর স্টিমরোলার চালানো হয়। পর্যায়ক্রমে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে, কারাগারে রেখে হত্যার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। যাঁরা সারা জীবন ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই ইসলাম অবমাননার কথিত অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীরা গ্রেপ্তার হতে শুরু করেছেন। বর্তমান সরকার ওই সব ষড়যন্ত্রকারীকে বিচারের আওতায় এনে একটি বিচারিক কার্যক্রমের সূচনা করবে বলেও তিনি আশা করেন।
রুকন সম্মেলনে জামায়াতের আমির ডা. শফিক বলেন, বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনামলে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিকই লুটপাট ও জুলুমের বাইরে ছিল না। হাজারো মানুষের, মা-বোনদের, শিশুর কান্নার রোল আল্লাহর আরশে পৌঁছে গেছে। যার ফলে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষা সংস্কার কমিশনে আল্লাহকে স্বীকার করেন না এমন লোকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শিক্ষা সংস্কার কমিশনে কমপক্ষে একজন আলিয়া ও একজন কওমি নেসাবের আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনাসদস্য হত্যাসহ দেশের সব হত্যাকা- এবং এর মাস্টারমাইন্ডদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তা না হলে আবারও জালিমদের আগমন হতে পারে, তৃতীয় শক্তির উদ্ভব হতে পারে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মহানগরী সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ মশিউর রহমান খান, মাস্টার শফিকুল আলম, সাতক্ষীরা জেলা আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, বাগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ।