স্টাফ রিপোর্টার ::
স্বৈরাচার শেখ সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে দেশের সবগুলো অঙ্গনকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের সকল স্থরে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ ও আত্মীয়করণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সকল অঙ্গনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে তার কাক্সিক্ষত গন্তব্যে নিয়ে যেতে আলেম সমাজের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে। বৈষম্যহীম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি সেক্টরে আলেম উলামাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নতুন বাংলাদেশে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জনগণের সকল মৌলিক অধিকার হরণকারী জালিম ফ্যাসিস্ট সরকারের একান্ত আজ্ঞাবহ কর্মকর্তাদেরকে তাদের স্বপদে বহাল রেখে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। তাই সকল নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার গঠন সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নেতৃবৃন্দ।
সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী।
জেলা জমিয়তের সাধারণ স¤পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক স¤পাদক মাওলানা রফিক আহমদ উলাশনগরী ও সহকারী মাওলানা মুখতার হোসাইন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফিন্দী।
গণসমাবেশে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল বছির, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক স¤পাদক মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী।
সমাবেশে সুনামগঞ্জের শীর্ষ আলেম ও হেফাজতে ইসলামের সাধারণ স¤পাদক মুফতি আব্দুল হক আহমদীর নেতৃত্বে শতাধিক আলেম ও জনতা দলের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জমিয়তে যোগদান করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা জমির উদ্দীন কাতিয়া, মাওলানা ইকবাল বিন হাশিম, মাওলানা হাজী ইমদাদুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল আজিজ বিশ্বম্ভরপুর, মাওলানা আব্দুল হালিম চিনাকান্দী, মুফতি বদরুল আলম তেঘরিয়া, জেলা জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, মাওলানা শায়খ আব্দুল ওয়াহহাব, মাওলানা আব্দুল হাফিজ, মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরী, মাওলানা রুকন উদ্দীন, মাওলানা আব্দুর রকিব, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ইলিয়াস আহমদ, মাওলানা শামসুদ্দীন ফিরজিপুরী, মাওলানা শায়খ আব্দুল কাদির জামালগঞ্জ, মাওলানা মাসরুর আহমদ কাসেমী জগন্নাথপুর, মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেমী দিরাই, মাওলানা আব্দুল হামিদ দোয়ারাবাজার, মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী ধর্মপাশা, হাফিজ হাম্মাদ হোসাইন পৌরসভা, মাওলানা রমজান হোসাইন সদর, মাওলানা নাজমুল হোসাইন শাল্লা, মাওলানা জামিলুর রহমান চৌধুরী ছাতক, মাওলানা আমির হোসাইন বিশ্বম্ভরপুর।
জেলা যুব জমিয়তে সভাপতি মাওলানা হাফিজ ত্বাহা হোসাইন ও জেলা ছাত্র জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফিজ সোহাইল আহমদ ইয়াহইয়ার নেতৃত্বে নিজস্ব ২শ স্বেচ্ছাসেবক মঞ্চ ও প্যান্ডেলে শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল।