স্টাফ রিপোর্টার ::
বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ নানা বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে ছাতকে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৈষম্য দূরীকরণে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় ছাতক উপজেলায়ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল-মাদ্রাসা শিক্ষা পরিবারের উদ্যোগে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তফা মুন্নার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পুলিন চন্দ্র রায় ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. সোয়েব উপস্থিত ছিলেন
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দেশের সকল জেলা ও উপজেলা সদরে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এতে সংহতি প্রকাশ করে।
মানববন্ধন চলাকালে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিগলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আখতারুজ্জামান, রাজ্জাকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মোশাহিদ আলী, শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাশ ও হায়দর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আজিজুর রহমান প্রমুখ।
দাবি আদায়ের স্বপক্ষে স্কুল ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা চরমভাবে বৈষম্যের শিকার। জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী দেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছে তাতে আমরাও নতুন করে স্বপ্ন দেখছি। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯৭% বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এগুলো জাতীয়করণ করা অত্যন্ত জরুরি। একই যোগ্যতা, একই বই পড়ানো, একই কর্মঘণ্টা, একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা অথচ সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাম দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার মধ্যে বিরাট বৈষম্য তৈরি করে রাখা হয়েছে -যা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষেই মানায়। প্রশাসনিক দক্ষতাবিহীন সরকারি শিক্ষককে জেলা শিক্ষা অফিসারসহ শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিলে শিক্ষাঙ্গনে চরম অসন্তোর সৃষ্টি হবে। এই অসন্তোষ দূর করার লক্ষ্যে ৩১ বছরের প্রশাসনিক কাজের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৬ষ্ঠ গ্রেডের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের জেলা শিক্ষা অফিসার অথবা সমগ্রেডের পদে পদায়নের জন্য দাবি জানান বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, সেসিপ-এর দক্ষ জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।
এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার প্রধানসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।