সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ডেনমার্ক ও জার্মানির মধ্যে দূরত্ব কমাতে এক সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের কাজ চলছে। জানা গেছে, আগের সব রেকর্ড ভেঙে এটাই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ।
ইউরোপের এই মেগা-প্রকল্পে চ্যালেঞ্জের মাত্রাও কম নয়। যেমন এই টানেল নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হলো কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ। বলা হচ্ছে ৩০ ঘণ্টা ধরে অবিরাম কংক্রিট ঢালা হবে। এই সুড়ঙ্গ বানাতে ইতোমধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় নির্মাণ সাইট তৈরি করতে হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ড্রেজারও সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মোট ৮৯টি আগে থেকে তৈরি অংশ জুড়ে সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হচ্ছে। অংশগুলো প্রত্যেকটি ২১৭ মিটার দীর্ঘ ও ৪২ মিটার চওড়া। দুটি টিউবে ট্রেন ও দুটিতে গাড়ি চলবে। বিশাল অংশগুলো সমুদ্রে ডুবিয়ে একটির সঙ্গে অন্যটি জোড়া দেওয়া হবে।
এই সুড়ঙ্গ ডেনমার্ককে জার্মানির উত্তরাংশের সঙ্গে যুক্ত করবে। ফলে রেলযাত্রী ও গাড়ি চালকদের ১৬০ কিলোমিটার কম পথ পাড়ি দিতে হবে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি মেগা প্রকল্পের অংশ, যার আওতায় ইউরোপের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের মধ্যে রেল যাত্রা আরো দ্রুত করে তুলবে। এই প্রকল্পের আওতায় ব্রেনার বেস টানেলও নির্মাণ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে অস্ট্রিয়া ও ইতালির মধ্যে সংযোগ ঘটবে। ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেল টানেল হতে চলেছে।
তবে ডেনমার্কের প্রকল্পের ব্যয় উঠে আসবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। নির্মাণের আনুমানিক ব্যয় আপাতত ৭০০ কোটি ইউরো ধরা হচ্ছে। প্রকল্পের ম্যানেজার মাটিয়াস লাউবেনস্টাইন জানান, পরিবহণ সংক্রান্ত পূর্বাভাস অনুযায়ী দিনে প্রায় ১১১টি ট্রেন এই টানেলে চলবে, তাছাড়া ২০৩০ সাল থেকে প্রায় ১২ হাজার গাড়ি ফেমার্নবেল্ট টানেল ব্যবহার করবে বলে আমরা ধরা হচ্ছে। গাড়িপ্রতি ৭৩ ইউরো টোল ট্যাক্স নেওয়া হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ট্রেনে মাসুল এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে নির্মাণের ব্যয় যে কমপক্ষে ২০ বছরে উঠে আসবে না, সে বিষয়ে কোনো সংশয় নেই। সূত্র: ডয়চে ভেলে