মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুরে মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে ভাড়াটে দোকানে চলছে ৯নং পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। এখানে চেয়ারম্যান ও সচিব কোন রকমে বসতে পারলেও ইউপি সদস্যগণসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার জায়গা নেই। ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজনও দাঁড়িয়ে সেবা গ্রহণ করেন।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, প্রথমে স্থানীয় কাতিয়া বাজারের পাশে পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ছিল। এখনো জরাজীর্ণ অবস্থায় কালের সাক্ষী হয়ে পড়ে আছে সেই পুরনো অফিস ভবন। এক পর্যায়ে সেই অফিস রেখেই স্থানীয় স্বাধীন বাজারে ভাড়াটে দোকানে চলে পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। এ নিয়ে স্থানীয় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উচ্চ আদালতে চলছে মামলা-মোকদ্দমা। রয়েছে আধিপত্য বিস্তার ও আঞ্চলিকতার প্রভাব। যে কারণে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে স্বাধীন বাজারে ভাড়াটে দোকানঘরে পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে চলছে কার্যক্রম। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ইউপি সদস্যগণসহ সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় হাড়গ্রামের বাসিন্দা আনর আলীসহ অনেকে জানান, পাইলগাঁও ইউনিয়নের মধ্যস্থান হচ্ছে স্বাধীন বাজার। এখানে ইউনিয়ন পরিষদ থাকায় আমরা সহ এ ইউনিয়নের সকল এলাকার মানুষ সহজে সেবা নিতে পারছেন। তাই এখানে স্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের জন্য আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
ইউপি সদস্য দুরুদ মিয়া বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এখানে দাঁড়িয়ে থেকে জনসেবা দিয়েছি। আরেক ইউপি সদস্য আবু বকর মধু জানান, অফিসে বসার জায়গা না থাকায় আমরা ইউপি সদস্যরা অনেক কষ্টে আছি।
পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মখলুছ মিয়া জানান, মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় অস্থায়ী কার্যালয়ে কোন রকমে কার্যক্রম চলছে। তবে এবার নবনির্বাচিত সকল ইউপি সদস্যকে নিয়ে আলোচনাক্রমে মামলা নিরসনসহ ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলাম জানান, পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের জন্য অনেকেই স্বেচ্ছায় জায়গা দিতে চাইছেন। এখন ইউনিয়নের সকল জনপ্রতিনিধির সাথে নিয়ে আলোচনাক্রমে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।