সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। এমন মুহূর্তে সুনামগঞ্জের বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলেছে। এতে ক্রেতা সাধারণ হতাশ হয়েছেন। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানাগেছে, শহর ও গ্রামাঞ্চলের খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে পেঁয়াজসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি বিক্রি করা হচ্ছে বেশি দামে। বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মন্তব্য সচেতনমহলের।
এবার হাওরের ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির পরও বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু গত ঈদের পর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে দ্রব্যমূল্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি ক্রেতাদের।
গত রমজানের ঈদ পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকায় পেঁয়াজের ও অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়নি। তখন পেঁয়াজের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১৭ থেকে ১৮ টাকা কেজি। এখন এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে মরিচের দামও। মরিচ পাইকারি প্রতি কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, খুচরা ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা কেজি এবং গুড়া মরিচ সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
রসুন পাইকারি দরে প্রতি কেজি ৫২ টাকা থেকে ৭০ টাকা। খুচরা বাজারে ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। হলুদ গুড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে। আদা পাইকারি ৭০ টাকা এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে। সোয়াবিন তেল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫ লিটার (ভেজেট্যাবল) ৪১০ টাকা। ভালমানের সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা করে ৫ লিটার। খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ৮৫ টাকা থেকে ১০৫ টাকা করে।
জিরা প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা থেকে সাড়ে ৩ শত টাকা করে। ময়দা ১ কেজিতে প্রতি প্যাকেট ৪৫ টাকা, খোলা ময়দা ৪০ টাকা কেজি দরে। চিনির মূল্য কমেছে কেজিতে ১৫ টাকা করে। চিনির বর্তমান বাজার দর ৫৫ টাকা প্রতি কেজি। এলাচি ১৩০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা করে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে এবং দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। লং ১ হাজার টাকা করে প্রতি কেজি।
কালিজিরা চাউল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা, চিনিগুড়া ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা করে প্রতি কেজি প্যাকেটে। গুড়ো দুধ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা করে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে।
দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ভোগান্তি কমবে না। তাই স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। অবশ্যই দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।