স্টাফ রিপোর্টার ::
ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কমতে শুরু করেছে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ জেলার সকল নদ-নদীর পানি। বুধবার (৩ জুলাই) শহরের ষোলঘর সুরমা নদীর পয়েন্ট দিয়ে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি কমেছে ২৬ সেন্টিমিটার। এতে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সুরমা নদীর পাড় উপচে পানিতে তলিয়ে যাওয়া পৌর শহরের রাস্তাঘাট থেকেও পানি নেমে গেছে। তবে এখন পানিতে তলিয়ে আছে নি¤œাঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক ও কিছু ঘরবাড়ি। সেই সঙ্গে দুর্গাপুর, শক্তিয়ারখলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত চার দিন ধরে জেলা শহরের সাথে তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এমনকি দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের সাথে এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সুরমা, লক্ষ্মীপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের। এতে পানি কমলেও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ।
এদিকে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও আতঙ্ক কমেনি হাওর অঞ্চলের মানুষদের। লোকজন বলছেন- পাহাড়ি ঢলের পানির এখন আর কোনও বিশ্বাস নেই। এক বন্যার রেশ না কাটতে আবারও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতিতে সৃষ্টি হওয়ায় আমরা খুব কষ্টে আছি।
পৌর শহরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিবছর সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, আর আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেই সঙ্গে ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই আমরা ত্রাণ চাই না, বন্যা থেকে মুক্তি চাই।
তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা মিন্টু চন্দ্র বলেন, গত চার দিন ধরে সুনামগঞ্জের সঙ্গে গাড়ি পথে তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আমরা খুব কষ্টে আছি। ¯্রােতের মধ্যে নৌকা দিয়ে সুনামগঞ্জে যেতে হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত কম হলে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।