স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লায় অর্থনৈতিক শুমারির লিস্টার (তালিকাকারী) নিয়োগে ঘুষ নিয়েছেন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের টেকনিক্যাল অফিসার রান্টু চন্দ্র দাস। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩-২ হাজার টাকা করে নিয়েছেন এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক প্রার্থী। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিলেও তাদেরকে লিস্টার হিসেবে দায়িত্ব না দিয়ে তিনি তার শ্যালক, দুইজন শালিকা এবং শাল্লা ইউনিয়নের একই পরিবারের সাতজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় শিক্ষিত যুবসমাজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার জাতীয় অর্থনৈতিক শুমারির জন্য শাল্লায় ৩৮জন লিস্টার নেওয়া হয়। তারা ২ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত উপজেলার অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনা করবেন। উপজেলায় ইনফো সরকার প্রকল্পে শাল্লায় উপজেলা টেকনিশিয়ান হিসেবে লিস্টার নিয়োগদানের দায়িত্ব পান রান্টু চন্দ্র সরকার। তিনি দায়িত্ব পেয়ে যাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন অধিকাংশ লোকের কাছ থেকেই ২-৩ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েও তিনি দায়িত্ব না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন। তারা এ বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবগত করেছেন।
শাল্লার ডুমরা গ্রামের পল্লব চৌধুরী বলেন, আমার কাছ থেকে রান্টু চন্দ্র সরকার ২ হাজার টাকা নিয়েছেন। এখন আমাকে না নিয়ে তিনি অন্যদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি তার শালা ও শালিসহ একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে নিয়েছেন।
অভিযুক্ত রান্টু চন্দ্র দাস বলেন, আমি আমার আত্মীয়দের নিয়েছি বলে যেটা বলা হয়েছে তারা আগেই আদমশুমারিতে কাজ করেছে। এটা ইউএনও স্যারও জানেন। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। নিয়ম মেনেই লিস্টার নিয়োগ দিয়েছি।