দিরাই প্রতিনিধি ::
মন্ত্রিপরিষদের সাবে সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, হাওরের পাড়াগাঁয়েও অসহায়, এতিম মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে এমন বিশাল প্রতিষ্ঠান আমাকে অভিভূত করেছে। একাডেমীর সুরম্য প্রাসাদ, মনোরম পরিবেশ, আমাকে অভিভূত করেছে। তোমরা এখন এতিম নও, মহান আল্লাহর অপার করুণায় এবং এ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা জামিল চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করছো। আমাদের সময় স্কুল কলেজে এমন সুরম্য প্রসাদ এবং এতো সুন্দর পরিবেশ ছিল না। তিনি ফিমেইল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জামিল চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যিনি তার কষ্টার্জিত অর্থ ও শ্রম মেধা দিয়ে মানবসেবার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বাংলাদেশের কোথাও এতিম মেয়েদের জন্য এমন উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে বলে আমার জানা নেই। সরকার একাডেমির উন্নয়ন অনেক কাজ করেছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি এতিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমরা আজ এতিম নও, তোমাদের অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। যে স্বপ্ন নিয়ে যাবে ই¯িপত লক্ষ্যে। নারীদের অনেক সফলতার গল্পের অবতারণা করে কবির বিন আনোয়ার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, তিনি নারী শিক্ষার উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে একাডেমির উন্নয়নকাজ করে যাবো।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ‘নারী শিক্ষার উন্নয়নে সরকারি বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির আয়োজনে একাডেমির কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জামিল চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান খোন্দকার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সূত্রধর, সচিব সহধর্মিণী তৌফিকা
আহমেদ, দিরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর।
অধ্যক্ষ নাজমা বেগমের সভাপতিত্বে ও ডিএসএস প্রি ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক শাহজাহান সিরাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দিরাই রিপোর্টার্স ইউনিয়নের সাধারণ স¤পাদক মাইদুল ইসলাম সোহাগ, শিক্ষক আঁখি বেগম, জেসি আক্তার প্রমুখ। সকালে প্রধান অতিথি একাডেমিতে পৌঁছলে সুসজ্জিত স্কাউট দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।