1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

“সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯০ শতাংশই দুর্নীতির দিকে”

  • আপডেট সময় সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতির দিকে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, কাস্টমসে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুইটা-তিনটা বাড়ি। বনবিভাগে যারা চাকরি করেন, তাদের দুইটা-তিনটা করে সোনার দোকান। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন, তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারবো। না হলে যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, আমরা কী করবো? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন, তারা অসহায়। কারণ, এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি)। ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কী করবে?
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অর্থবিল ২০২৪ এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।
নির্বাচনের সময় হলফনামা দিতে হয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কী স¤পদ আছে, তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচবছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দেই। সেখানে স¤পত্তি কত বাড়লো, একশগুণ না পাঁচশগুণ বাড়লো, তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে।
হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, যারা প্রথমে চাকরিতে ঢোকেন তারা যদি হলফনামা দিতেন, তারপর পাঁচ বছর-১০ বছর পর হলফনামা দিতেন এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হতো, তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হতো। না হলে বন্ধ হবে না।
তিনি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যদি আমলনামা তৈরি করা হয়, তাহলে মনেহয় দুর্নীতি রোধ করা যাবে।
এমপিদের নির্বাচনি এলাকায় কোনও কার্যালয় নেই বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি যে উপজেলায়, সেখানে বাড়িকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। এ জন্য প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় এমপিদের জন্য অফিস করে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। হাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনি এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিইডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়। সে জন্য অফিস থাকলে ভালো হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com