স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর গাঘড়া পাঠানপাড়া নদী তীর ও ফাজিলপুর বালু মহাল সংলগ্ন এবং জামালগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর এলাকায় রক্তি নদীতে বিআইডব্লিউটিএর নামে চলতি নৌকা থেকে টোল আদায়ের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে যাদুকাটা নদীতীরের বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারচর পাঁচগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন বালু-পাথর শ্রমিক, নৌকা মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
মিয়ারচর বালু-পাথর সমিতির সভাপতি আব্দুল গণির সভাপতিত্বে ও ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বালু-পাথর ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়া, লুৎফুর রহমান নাঈম, কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, জামালগঞ্জ নৌকা মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এম আল আমিন, সদস্য নুর মোহাম্মদ, বাল্কহেড নৌকার মাঝি সাঈদ হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জের সর্ববৃহৎ বালুমহাল ফাজিলপুর বালুমহালে দেশের যেকোন এলাকা থেকে স্টিল বডির বাল্কহেড নৌকা নিয়ে আসা-যাওয়ায় ৪ ঘণ্টার নৌ-পথ পাড়ি দিতে তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ দুই উপজেলার ৪টি স্থানে টোল আদায়ের নামে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। যা বাংলাদেশের কোন নদীতে এমন নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এখানে বালু নিতে কোনো নৌকা আসবে না। চাঁদাবাজদের যন্ত্রণায় ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগেও তাহিরপুর উপজেলার গাঘড়াঘাট এবং ফাজিলপুর ঘাটে নৌকা প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা টোল দিয়েছি। কিন্তু এ বছর টোল আদায়কারীরা স্থানীয় এমপির প্রভাব খাটিয়ে প্রতি ফুট বালু থেকে এক টাকা হারে টোল আদায়ের নামে প্রতিটি বাল্কহেড নৌকা থেকে জোরপূর্বক ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে পাঠানপাড়া ঘাটে নৌকার সিঁড়ি নিয়ে যাওয়াসহ মারধর করে নৌকার থাকা লোকজনের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়।
নৌপথে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদী পথে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি জানা নেই। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. রনজিত চন্দ্র সরকারের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।