1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

এইচএসসি পরীক্ষা – সেরা প্রস্তুতিতেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য : দুলাল মিয়া

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪

সুপ্রিয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থী বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিও। আগামী ৩০ জুন, রবিবার তোমাদের পরীক্ষা শুরু। তবে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ২০ জুনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সিলেট বিভাগের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাসমূহ ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ৯ জুলাই থেকে পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত পরীক্ষাসমূহের সময়সূচি পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
তোমরা জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছো। দুনিয়াটাই একটি পরীক্ষাক্ষেত্র। জীবনের প্রতিটি ধাপে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। এ সময়টুকু তোমাদের অত্যন্ত আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে। পরীক্ষার আগ মুহূর্তে দুশ্চিন্তা না করে সময়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল সবারই কাম্য। নিজের সেরাটা দিলেই অর্জন করা যায় কাক্সিক্ষত সাফল্য। এজন্য পরীক্ষার প্রস্তুতিও হওয়া চাই সেরা।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) ২০২৪ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
পরীক্ষায় ভালো করার জন্য যেসব বিষয়ের প্রতি যতœবান হতে হবে-
* পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
* পরীক্ষার্থীকে বহুনির্বাচনি, সৃজনশীল / রচনামূলক এবং প্র্যাক্টিক্যাল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আলাদাভাবে পাস করতে হবে।
* আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। মনে কর, তুমি সবকিছুই পারো, সব তোমার মনে আছে। খাতায় লিখতে পারবে। কোনো অবস্থায়ই মনে থাকবে কিনা; লিখতে পারবো কিনা এমন হতাশায় ভোগবে না। নিজের ওপর পুরোপুরি বিশ্বাস রেখো।
* ভালো ফলাফল অর্জনের পূর্বশর্ত হলো শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা। এজন্য অভিভাবকদেরও ইতিবাচক মনোভাব দেখাতে হবে। শিক্ষার্থীর পড়ালেখার উত্তম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সন্তানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যতœশীল থেকে পড়ালেখাসহ প্রতিটি ভালো কাজে সমর্থন, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিতে হবে।
* শিক্ষার্থীর ঘুম ও খাবারে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। পরীক্ষার তারিখ, বার ও সময় স¤পর্কে ¯পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। সকল দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। পরীক্ষার পূর্বের রাতেই প্রবেশপত্র, এডমিট কার্ড, কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল, ক্যালকুলেটর ও জ্যামিতি বক্সসহ প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো নিশ্চিত হয়ে প্লাস্টিকের একটি সাদা ফাইলে ঢুকিয়ে রাখতে হবে।
* শিক্ষার্থীর পঠিত সব বিষয়েরই গুরুত্ব রয়েছে। তাই প্রত্যেকটি বিষয়ে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। শেষ মুহূর্তেও মূল বইয়ে গুরুত্ব সহকারে অনুশীলন করতে হবে। পরীক্ষায় কাক্সিক্ষত নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশ্ন নির্বাচন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি যথার্থ উত্তর প্রদানের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা খুবই জরুরি।
* পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উত্তরপত্রের ডেকোরেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পৃষ্ঠার ওপরে দেড় ইঞ্চি, নিচে আধা ইঞ্চি, বামে এক ইঞ্চি এবং ডানে আধা ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা খালি রাখতে হবে। একটি উত্তর লেখা শেষে এক থেকে দেড় ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা ফাঁক দিয়ে আরেকটি উত্তর লেখা শুরু করতে হবে। হাতের লেখা স্পষ্ট ও পাঠযোগ্য হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। ঘষামাজা, কাটাছেড়া যথাসম্ভব পরিহার করা উচিত। লেখার ক্ষেত্রে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করা ভালো।
* প্রশ্ন পাওয়ার পর এক থেকে দুইবার খুব মনোযোগ দিয়ে প্রশ্নটি পড়ে নিবে। ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নের উত্তর লেখাই ভালো। পরীক্ষার খাতায় প্রশ্নের নম্বর পৃষ্ঠার মাঝামাঝি লেখাই ভালো।
* পরীক্ষা চলাকালীন অবশ্যই ঘড়ি ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ। পরীক্ষার্থী কোনভাবেই মোবাইল / কোনো ডিভাইস সাথে রাখতে পারবে না। পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে না।
* পরীক্ষার হলে সময় সচেতন থাকা খুবই দরকার। মনে রাখতে হবে, ফুলমার্কস আনসার করা খুবই জরুরি। প্রতিটি প্রশ্নের সময় ভাগ করে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত পাঁচ মিনিট আগেই লেখা শেষ করতে হবে।
* পরীক্ষার হলে রিভিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লেখা শেষ করেই পুরো উত্তরপত্র রিভিশন দিবে। এতে অনিচ্ছাকৃত অনেক ত্রুটি সংশোধন করতে পারবে। ফলে কাক্সিক্ষত নম্বর পাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত হবে।
এবার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) / ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন। মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫ টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি।
সুষ্ঠু ও ইতিবাচক পরিবেশে পরীক্ষা স¤পন্ন হোক। সবার জন্য শুভকামনা।
[লেখক দুলাল মিয়া : প্রভাষক, বাংলা বিভাগ, জাউয়া বাজার ডিগ্রি কলেজ, ছাতক, সুনামগঞ্জ]

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com