সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ক্যালেন্ডারের পাতার হিসাবে আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে আষাঢ় মাস অর্থাৎ বর্ষাকাল। আর বর্ষাকাল মানেই বৃষ্টি। দেশে ছয়টি ঋতু থাকলেও যেসব ঋতু সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়, তার একটি হলো বর্ষা মৌসুম। ফলে প্রকৃতিতে ঝড়বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ছে। আর এই বর্ষাতেই এবার পড়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আগামী সোমবার ঈদের দিনও কিংবা তার পরের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ফলে ঈদের আনন্দে ‘বাগড়া দিতে পারে’ বৃষ্টি।
শুক্রবার (১৪ জুন) আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন, এখন মনসুন মৌসুম, সে অনুযায়ী সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন যেভাবে যাচ্ছে ঈদের দিন সেভাবে থাকবে। সে ক্ষেত্রে ঈদের দিনও বৃষ্টি হবে এটা স্বাভাবিক। তবে অঞ্চল ভেদে বৃষ্টির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলায় সামান্য পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের চারটি বিভাগের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে সতর্কতা সংকেত।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেটের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বা®েপর আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।