1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সুনামগঞ্জকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা

  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই, ছাতক, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ উপজেলাকে স¤পূর্ণ ভূমিহীন এবং গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলাকে পুরোপুরি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হল। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সুনামগঞ্জসহ দেশের আরও ২৬টি জেলা এবং ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত দেশের মোট ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হলো।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় সর্বশেষ হালনাগাদকৃত মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ছিল ৮৩৩৮। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর ৭৬৮টি, দোয়ারাবাজার ৭৫৮টি, বিশ্বম্ভরপুর ৭৩১টি, ছাতক ৮১০টি, জগন্নাথপুর ৬১৭টি, ধর্মপাশা ৫২০টি, মধ্যনগর ৮০টি, জামালগঞ্জ ৮১৩টি, শাল্লা ১৫২৫টি, শান্তিগঞ্জ ৪৫৩টি, তাহিরপুর ৩৮৬টি এবং দিরাই উপজেলায় ৮৭৭টি। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলায় ১ম পর্যায়ে ৩,৯০৮, ২য় পর্যায়ে ৩৫৮, ৩য় পর্যায়ের ১ম, ২য় ও ৩য় ধাপে ১৯৪৬টি এবং ৪র্থ পর্যায়ের ১ম, ২য় ও ৩য় ধাপে ১৭১৯টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে জামালগঞ্জ উপজেলায় ৬৩টি পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জামালগঞ্জ উপজেলা থেকে উক্ত অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ছাব্বির আহমদ আকুঞ্জি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম শামীম। অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. এরশাদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শ্রীকান্ত তালুকদার, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, উপকারভোগী সাইফুল ইসলাম ও জরিনা আক্তার।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২২ মার্চ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাকে, ৯ আগস্ট ধর্মপাশা ও শাল্লা উপজেলাকে এবং ১৪ নভেম্বর সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর, শান্তিগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালগঞ্জ, দিরাই, ছাতক ও জগন্নাথপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করার সাথে সাথে সুনামগঞ্জ জেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করেন। এদিন জামালগঞ্জ উপজেলার ৬৩টি পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে ৩৪৪টি এবং একক ঘরে ৭৯৩১ টিসহ সুনামগঞ্জে সর্বমোট পুনর্বাসিত পরিবারের সংখ্যা হল ৮৩৩৮টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘর দেওয়ায় এখন পর্যন্ত দেশের ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছে। এর মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসনের সংখ্যা ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫। নির্মিত প্রতিটি ঘরের সঙ্গে পরিবারপ্রতি ২ শতাংশ খাসজমি বিনামূল্যে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে, সে হিসাবে এখন পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ৫০ একর খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোয় প্রায় ২২ একর জমি কমন ¯েপস হিসেবে উপকারভোগীরা ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া হতদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার, দেওয়া হয়েছে সেলাই মেশিনের কাজ। হাঁস-মুরগি, কবুতর পালন ও শাকসবজি উৎপাদনসহ কৃষিকাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী (বর্তমান লক্ষ্মীপুর) জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমি-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় স¤পৃক্ত করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ভূমি-গৃহহীন মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে সারা বিশ্বে প্রশংসিত দারিদ্র্য বিমোচনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ‘শেখ হাসিনা মডেল।’

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com