সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেটে অবৈধভাবে আসা ভারতীয় চিনিবোঝাই ১৪টি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত এটি জেলায় জব্দকৃত চিনির সবচেয়ে বড় চালান। এ সময় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
বৃহ¯পতিবার (৬ জুন) সকাল ৬টায় সিলেট সদর উপজেলার কো¤পানীগঞ্জ-জালালাবাদ রোডের উমাইরগাঁও এলাকার ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভারতীয় চিনিবোঝাই গাড়িগুলো জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ট্রাকগুলো কো¤পানীগঞ্জ থেকে জালালাবাদের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে ১৪টি ট্রাক, একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় চোরাকারবারিরা। জব্দকৃত চিনির আনুমানিক বাজারমূল্য ২ কোটি টাকা।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চিনিবোঝাই ১৪টি ট্রাক, ১টি প্রাইভেটকার ও ১টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছি। চিনিসহ ট্রাক আটকের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশের বিক্রিত চিনির প্রায় ৪০ শতাংশের অবৈধ পথে আসছে। চোরাচালানের কারণে বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বিশেষ করে সিলেট সীমান্তে চোরাই পথে এসব চিনির চালান ঢুকছে। আমদানিকারকদের দাবি, যে হারে চোরাই চিনি দেশে ঢুকছে, তাতে আগামীতে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাতে পারে সরকার।
জানা গেছে, ভারতীয় চোরাই চিনির প্রতি কেজির মূল্য পড়ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা রুপি। যেখানে দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির পাইকারি মূল্য ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং খুচরায় বিক্রি হচ্ছে দেড়শ টাকা দরে। কম দামে এসব নি¤œমানের চিনি বেশি দামে বিক্রি করে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু চক্ররা। যদিও সীমান্তে চোরাই চিনি চালান জব্দে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনির কারণে সরকার প্রতি কেজি চিনিতে ৩৮ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।