সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনও একাধিক দিনে ধাপে ধাপে করার বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ব্যক্তিগত আলোচনা বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
গত রোববার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সঙ্গে বৈঠক শেষে ধাপে ধাপে ভোটের বিষয়ে সিইসি বলেছিলেন, তাহলে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ভোটকেন্দ্রে অধিকসংখ্যক ফোর্স মোতায়েন সহজ হবে। মনিটরিংটা সহজ হবে।
সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ধাপে ধাপে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি নজরে আনলে ইসি আলমগীর বলেন, কমিশন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমাদের বক্তব্য হলো, পদ্ধতি যেটাই হোক না কেন, পদ্ধতি ঠিক করবে রাজনৈতিক দল, সংসদ, ভোটার। তারাই ঠিক করবেন। যে পদ্ধতিই অনুসরণ করা হোক না কেন, সংবিধানে যে অবস্থা থাকবে, সেই অবস্থার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচনটা সুষ্ঠু করার। ওটা নিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ নাই।
কমিশনের একজন যখন চিন্তা করে ধাপে ধাপে জাতীয় নির্বাচন হলে ভোটটা ভালো হবে। এ রকম কেন মনে হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, কথাটা উনি কমিশনের কোনো সিদ্ধান্ত হিসেবে বলেননি। উনি যেটা বলেছেন সেটা হলো যে একাডেমিক ডিসকাশনের ক্ষেত্রে উনি মনে করেন সেটা। এই রকম সিদ্ধান্ত দেয়নি যে কমিশন মনে করে এই পদ্ধতিটা ভালো। সেটি ব্যক্তিগত আলোচনা।
ইভিএমের বিষয়ে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নয়, ইভিএমের ভালো দিকগুলো নিয়ে ব্যক্তিগত আলোচনা হয়েছে যে ইভিএমে বিশ্বাস করা উচিত। কারণ, ইভিএমে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, নির্বাচন হওয়ার পরে কিন্তু কোনো প্রার্থী বলেনি কারচুপি হয়েছে। এই ধরনের একটি অভিযোগও আমরা পাইনি। সব রাজনৈতিক দল যদি ইভিএমের ভোটের বিষয়টি সমর্থন করত, তাহলে ভালো হতো সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধাপে ধাপে নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো পছন্দ-পছন্দের বিষয় নয়। এটা হলো জাতীয় সংসদ, দেশের রাজনৈতিক দল যে পদ্ধতি নির্ধারণ করবে, কমিশন সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্বাচন করবে। কমিশন কোনো গাইডলাইন দিতে পারে না, সুপারিশ করতে পারে না। বরং সংবিধানে কী আছে, সে অনুযায়ী কমিশনকে ফলো করতে হবে। সংবিধান রচনা করবে মহান জাতীয় সংসদ। মহান জাতীয় সংসদে কারা আছেন? সংসদ সদস্যরা। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই ঠিক করে দেবেন যে এই দেশের শাসনব্যবস্থা কেমন হবে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কেমন হবে, সরকারব্যবস্থা কেমন হবে, নির্বাচনব্যবস্থা কেমন হবে।