1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ভারী বৃষ্টিপাতে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সড়ক ও বাসাবাড়িতে পানি ওঠায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে সড়কের পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করছে নগরীর বাসিন্দারা।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, গত রোববার সন্ধ্যা ৬টা আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২২০ মিলিমিটার। আর ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৭ দশমিক ২ মিলিমিটার।
নগরীর বাসিন্দারা জানান, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে নগরে শুরু হয় টানা বৃষ্টি। এই বৃষ্টি একনাগাড়ে চলে সকাল পর্যন্ত। এরপরও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এতে নগরের উপশহর, তেরোরতন, যতরপুর, মেন্দিবাগ, জামতলা, তালতলা, শেখঘাট, কলাপাড়া, মদিনা মার্কেট, মজুমদার পাড়া, লালদীঘির পাড়, সোবহানীঘাট, মির্জাজাঙ্গাল, কদমতলী, কালীঘাট, শেখঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ওইদিন মধ্যরাতে এসব এলাকার বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সুরমা নদীর সিলেট ও কানাইঘাট পয়েন্ট দিয়ে যথাক্রমে ১৩ সেন্টিমিটার ও ৫৯ সেন্টিমিটার এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে যথাক্রমে ৪৪ সেন্টিমিটার ও ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সিলেটেও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদ-নদীর পানি পুনরায় বাড়ছে। এ ছাড়া সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এই পানি নামতে সময় লাগবে। পানি গিয়ে সুরমা নদীতে নামলে নগরের পানি কমবে। তবে সুরমাও পানিতে টইটম্বুর।
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, আগে থেকেই নগরের ৪ হাজার পরিবার জলাবদ্ধ ছিল। গতকালের বৃষ্টিতে নতুন করে আরও ৬ হাজার পরিবার জলাবদ্ধ হলো। সুরমা নদীও পানিতে ভরপুর এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে, যার কারণে নগরের পানি নামার কোনো উপায় নেই। আমরা নতুন করে নগরের ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র খুলছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com