স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে ঋণের চাপ সইতে না পেরে বিল্লাল মিয়া (৩৩) নামে এক শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন বরে জানাগেছে। রবিবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিল্লাল মিয়া উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লোহাজুড়ি ছড়ারপাড় গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পরিবারের অগোচরে শনিবার ভোর রাতে নিজ বাড়ি সংলগ্ন গাছের ডালের সাথে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিল্লাল মিয়া। তিনি যাদুকাটা নদীতে বালু ও পাথর উত্তোলনের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা জানান, বিল্লালের অভাবের সংসার ছিল। নদীতে বালু-পাথর উত্তোলন করতে পারলে জীবিকা নির্বাহ করতে পারতেন। কাজ না থাকলে এদিক-ওদিক ঋণ করে সংসার চালাতে হতো। সম্প্রতি ছোট ভাইয়ের বিয়েতেও কোনো টাকা-পয়সা দিতে পারেননি। তাই পরিবারের ধারণা, ঋণের চাপ সইতে না পেরেই হয়তো বিল্লাল আত্মহত্যা করেছেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এএসআই নাজিম উদ্দীন জানান, গত শুক্রবার বিল্লাল মিয়ার ছোট ভাইয়ের বিয়ে আর শনিবার বৌভাত ছিল। বিয়েতে বিল্লাল মিয়া কিছু দিতে পারেনি আর নতুন বাড়িও করেছেন। সব মিলিয়ে সম্ভাব্য কারণ ঋণগ্রস্ত হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়েই বাড়ির পশ্চিম পাশে গামাই গাছের ডালের সাথে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন ধারণা করছেন পরিবার ও এলাকাবাসী।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।