1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে দুর্ঘটনার শঙ্কা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বেরীগাঁও কালভার্ট সেতু আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে তিন ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গত বুধবার রাতে এই সেতু দক্ষিণ দিকে গোড়ার উপরিভাগের কিছু অংশ ভেঙে দেবে গেছে এবং নিচের দিকে ভেঙে খসে পড়েছে। এ অবস্থায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, পাকিস্তান শাসনামলে সীমান্ত এলাকার বৃহত্তর রঙ্গারচর ইউনিয়ন বর্তমানে সুরমা, জাহাঙ্গীরনগর, রঙ্গারচর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের শহরে সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে মুগাই নদীর উপর এই সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণের পর যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়। শিক্ষা অর্জনে, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে এবং অফিস আদালতে জরুরি কাজে মানুষজন আসা-যাওয়া করে থাকেন। এই সেতু ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাহাড়ি ঢলের প্রবল বেগে সেতুর গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। ২/১ বছর যাবত বালু-পাথর বহনকারী শত শত পিকআপ ও ট্রলি সেতুর উপর দিয়ে আসা-যাওয়া করায় সেতু তিন দিকে দেবে গেছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যেও পাথরবাহী পিকআপ ও ট্রলি চলাচল করছে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। গত বুধবার রাতে এই সেতু দক্ষিণ দিকে গোড়ার উপরিভাগের কিছু অংশ ভেঙে দেবে গেছে এবং নিচের দিকে ভেঙে খসে পড়েছে। জনচলাচল ও সকল প্রকার যানবাহন যাতায়াত বন্ধ না হলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা এই সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন একাধিকবার। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা দায়িত্বশীল নির্বাচিত প্রতিনিধি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
পথচারী আব্দুর রহীম বলেন, এই সেতু ভেঙেছে অবৈধ পাথরবাহী ট্রলি ও পিকআপ চলাচলের কারণে। এখনও রাতের বেলায় শত শত পাথরবাহী গাড়ি চলাচল করে। এসব অবৈধ গাড়ি বন্ধ করা হোক এবং দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, নির্বাচনের সময় দুয়ারে দুয়ারে সমস্যা খুঁজে বেড়ান প্রার্থীরা। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেন। নির্বাচিত হলে আর দেখা পাওয়া যায় না। এখন সেতু ভেঙে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে তাদেরকেই দায়ী করবো আমরা।
হাসাউড়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কাদির বলেন, বেরীগাঁও সেতু অতি পুরাতন। নির্মাণের প্রায় ৭০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে এই সেতু মারাত্মক ঝুঁকিরমুখে আছে। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তবে খুবই ভয়াবহ হবে। দায়ী হবেন দায়িত্বশীলরা।
সাবেক ইউপি সদস্য ও নারীনেত্রী মাজেদা আক্তার বলেন, বেরীগাঁও পুরাতন সেতুটি ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা সেতুর উপর সাইনবোর্ড টাঙিয়েও যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে পারছি না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট অফিসের দায়িত্বশীলেরা কেউ এ নিয়ে ভাবছেন না। এখন সাধারণ জনগণ মহাসমস্যায় পড়েছি। এই সেতু ভেঙে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
সুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক নাজিম উদ্দিন জানান, এ সেতু ভেঙে পড়লে জাহাঙ্গীরনগর ও রঙ্গারচর ইউনিয়নের বিপুল জনগোষ্ঠীর যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে। নানা ভোগান্তির শিকার হবে হাজার হাজার মানুষ। এই বিষয় নিয়ে আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরও উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, শহরতলির সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারঘাট-মঙ্গলকাটা সড়কের বেরীগাঁও এলাকায় পুরাতন কালভার্ট সেতু ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com