মাহমুদুর রহমান তারেক, যুক্তরাজ্য ::
বুধবার বাংলাদেশে তৃতীয় ধাপে সিলেট বিভাগের ১০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তিন যুক্তরাজ্য প্রবাসী। এর মধ্যে সিলেট জেলায় একজন ও সুনামগঞ্জ জেলায় দুই জন।
সুনামগঞ্জের ছাতকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরণ। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৪১ হাজার ১৪৭ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওলাদ আলী রেজা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৯৬৩ ভোট। রফিকুল ইসলাম কিরণ যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের বাসিন্দা।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আল তানভীর আশরাফি চৌধুরী (বর্তমান চেয়ারম্যান) আনারস প্রতীকে ২৫ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুল ইসলাম জুয়েল দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ২২৯ ভোট। দেওয়ান আল তানভীর আশরাফি চৌধুরী যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বাসিন্দা।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশফাকুল ইসলাম সাব্বির। তিনি আনারস প্রতীকে ১২ হাজার ৫৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৪ ভোট। আশফাকুল ইসলাম সাব্বিরও লন্ডনের বাসিন্দা।
ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী রফিকুল ইসলাম কিরণ বলেন, সাধারণ মানুষ ভালোবেসে আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। প্রবাসী মানুষজনও আমাকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। আমি সমাজের নিপীড়িত, নির্যাতিত, অবহেলিত মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। যারা সমাজকে ধ্বংস করতে চায় তাদের বিপক্ষে কাজ করবো।
যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডের বাসিন্দা তাহের আহমদ মন্টি বলেন, যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা প্রবাসী হলেও রাজনীতি, নির্বাচনের জন্য পরিবার-পরিজন ছেড়ে দিনের পর দিন দেশে গিয়ে বসবাস করেছেন। এলাকার মানুষজনও সুখে-দুঃখে পাশে পেয়েছেন বলেই তাদের নির্বাচিত করেছেন।
যুক্তরাজ্যের লুটনের বাসিন্দা মাহবুবুল কারীম সুয়েদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি, নির্বাচনের প্রতি প্রবাসীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। অনেকে প্রবাস থেকে দেশে গিয়ে রাজনীতি করছেন, নির্বাচনে জয়ীও হচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়।