স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাস কর্তৃক শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রূপচাঁদ দাসের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সচেতন ছাত্রসমাজ ও অভিভাবক মহলের ব্যানারে উপজেলার শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বাহাড়া ইউপির সদর ওয়ার্ড সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শ্রীবাস দাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শাল্লা উপজেলা যুবলীগ কর্মী রূপক দাস, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী সুধাকর দাস, ছাত্রলীগ কর্মী অনজিত দাস, ধ্রুব তালুকদার, সৈকত দাস, রূপম দাস, সজীব সরকার শুভ্র, অভিমন্যু বৈষ্ণব, মাইনউদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দিপু রঞ্জন দাশ একজন উগ্র লোক। তিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও সদরের অনেক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। এনিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই তার উপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। দিপু রঞ্জন দাস একজন শিক্ষককের উপর হামলা করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। দিপু রঞ্জন দাসকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক, তার এ ঘৃন্য অপরাধের শাস্তি হোক। এরপূর্বে গত ২৮ মে শাল্লা সদরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিলও করেন। মিছিল শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে শুরু করে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
অন্যদিকে শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায় প্রভাষক রূপচাঁন দাসের উপর হামলার ঘটনায় ২৯মে কলেজের পক্ষ থেকেও নিন্দা জানানো হয়েছে। এবিষয়ে রূপচাঁন দাস বলেন, বাহাড়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের দেবত্ব স¤পত্তি নিজের দখলে নিতে চায় দিপু রঞ্জন দাস। আমি প্রতিবাদ করার কারণে দিপু রঞ্জন দাস ও তার কর্মচারী আমার উপর হামলা চালায়। আমি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। আমার হাতে ও পায়ে জখম হয়। আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাসের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। নিন্দনীয় হামলার ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২৬ মে বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের জামে মসজিদের দক্ষিণ দিকে দিপু রঞ্জন দাসের ভাইয়ের দোকানের সামনে দেবত্তর স¤পত্তি দখল নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হামলা চালায় দিপু রঞ্জন দাসের ভাইয়ের দোকান কর্মচারী অনিক দাস ও দিপু রঞ্জন দাস। এঘটনায় ২৬ মে দিপু রঞ্জন দাসকে প্রধান আসামি করে বেশক’জনের নামে থানায় অভিযোগ দেন ওই প্রভাষক। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।