স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টকে ছোরাসহ আটক করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হালিম উদ্দিন। আটক এজেন্ট বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলাম জুয়েলের দোয়াত-কলম প্রতীকের এজেন্ট। সকাল সাড়ে নয়টায় কেন্দ্রে গিয়ে হাতে ছোরা দেখে ওই এজেন্টকে আটক করেন ম্যাজিস্ট্রেট। আটক এজেন্টের নাম মাসুক মিয়া (৪৫), সে দোয়ারাবাজারের মুরাদপুর গ্রামের গুলফর মিয়ার ছেলে। বুধবার (২৯ মে) সকালে এই ভোটকেন্দ্রের ৭নং কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এই উপজেলার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের ৭নং কক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফুল ইসলাম জুয়েলের পক্ষে এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন এই উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুক মিয়া। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অভিযুক্ত মাসুক মিয়া ভোট কক্ষের ভেতরে থাকা অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টদের ভয় দেখান। পরে খবর পেয়ে ওই কক্ষে পরিদর্শনে আসেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম। ওই এজেন্টের আচরণ সন্দেহজনক হলে তাকে আটক করে তল্লাশি করার নির্দেশ দেন তিনি। পরে পুলিশ তাকে তল্লাশি করে ধারালো অস্ত্র (চায়নিজ চাকু) উদ্ধার করে। এ সময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম থাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মুজিবুর রহমান জানান, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস জানান, দোয়াত-কলমের এজেন্ট মাসুক মিয়ার হাতে ছোরা দেখে সঙ্গে সঙ্গে আটক করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ তিনি।