স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরের হাঁপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিনাকারণে বন্ধ রাখার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হুমকি শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এসময় বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানানো হবে বললে প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করার হুমকি দিয়েছেন বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদ।
সোমবার দুপুরে দিকে সংবাদ সংগ্রহকালে এমন ঘটনাই ঘটে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাসের কাছে চিঠি দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আওয়াল।
এ ঘটনার বিষয়ে দৈনিক কালবেলার তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি মো. শওকত হাসান বলেন, সকালে আমাদের এক সহকর্মীর লাইভের মাধ্যমে জানতে পারি হাঁপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কোন কারণ ছাড়াই বন্ধ রাখা হয়েছে। বেলা ১২টা বাজলে ক্লাসরুমের দরজা খোলা হয়নি, এই ঘটনার কারণ জানতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যালয়ে শিক্ষক হারুনুর রশিদকে কল দেই। তিনি আমাকে খুবই বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের দেখে নিবেন এবং আমাকে তার বিদ্যালয়ে পাশে দেখলে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেন।
এ বিষয়ে আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোসাইদ রাহাত জানান, সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদকে কল দিলে তিনি তাদের গালিগালাজ করেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আমি ওই শিক্ষককে কল দিলে তিনি আমাকেও গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় ওই শিক্ষক সুনামগঞ্জের সাংবাদিকদের জুতাপেটা করবেন বলে হুমকি দেন। বিষয়টি আমি প্রধান শিক্ষক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানাবো বললে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মাধব চন্দ্র সরকারকেও জুতাপেটা করবেন বলে গালিগালাজ শুরু করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কথা বললেও তিনি তাকেও গালিগালাজ করেন।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মাধব চন্দ্র সরকার বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ব্যাপারে আমি সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদকে কল দিলে তিনি আমাকেও গালিগালাজ করেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি খুবই বেয়াদব।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আওয়াল বলেন, হাঁপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী তিন শিক্ষক বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের শোকজ করা হবে। ইতিমধ্যে আমি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই, যেহেতু তারা এটি করেছেন তারা শাস্তির মুখোমুখি হবেন এবং আপনারা যে শিক্ষকের গালির রেকর্ড দিয়েছেন সেগুলো আমরা পেয়েছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি আমি নিব। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষকের সবকিছু আমার কাছে এসেছে। উনি যে ব্যবহার করেছেন সেটি একদম ঠিক করেননি।