স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে জহুর মিয়া (২২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার আব্দুল ছাত্তার ও সজিব মিয়া নামে দু জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতের স্বজনরা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মন্দিয়াতা গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে জহুর মিয়া ও তার পরিবারের সদস্য-স্বজনরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন খাঁর পক্ষে কাজ করেন। অপরদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আফতাব উদ্দিনকে সমর্থন দেন রিপন মিয়া (৪৫), সুজন মিয়া (৩৫) ও তাদের স্বজনরা। ২১ মে নির্বাচনে আনারস প্রতীকে আফতাব উদ্দিন বিজয়ী হন। নির্বাচনে বিজয় মিছিল করে রিপন মিয়া, সুজন মিয়া ব্যঙ্গ করে জহুর মিয়াকে। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে রবিবার রাতে জহুর মিয়া মন্দিয়াতা কান্দাহাটি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মন্দিয়াতা গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমান মেম্বার সাজিনুর মিয়ার নেতৃত্বে রিপন মিয়া (৪৫), সুজন মুয়া (৩৫)সহ ১৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জহুর মিয়ার দুই হাত-পা কুপিয়ে জখম করে। এসময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার বিকেলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী ও আহতের চাচা কুতুবউদ্দিন জানান, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মন্দিয়াতা গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমান মেম্বার সাজিনুর মিয়ার নেতৃত্বে আমার ভাতিজার উপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছি। আমি ন্যায়বিচার চাই।
তবে এই ঘটনার সাথে মন্দিয়াতা গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমান মেম্বার সাজিনুর মিয়া জড়িত নন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাকে এই মামলায় অন্যায়ভাবে জড়িয়েছে আমার প্রতিপক্ষরা। ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না, বাদাঘাটে ছিলাম।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর দু’জনকে গ্রেফতার করে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলছে।