মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৫ জুন। নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদের প্রার্থীর কেউই আচরণবিধি মানছেন না। এতে করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধির কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই উপজেলায় না দেওয়ায় প্রার্থীরা ভবনের দেয়ালে যত্রতত্রভাবে নির্বাচনী পোস্টার লাগানো, মোটর সাইকেল শোডাউন, মিছিল ও নির্ধারিত সময়ের আগে ও পরে মাইকিং করে নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, পোস্টার লাগানো, মোটরসাইকেল শেডাউন ও মিছিল করা নিষিদ্ধ রয়েছে। এছাড়া বেলা ২টা রাত আটটা পর্যন্ত মাইকিং করার নির্দেশনা রয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মধ্যনগর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৭৩ হাজার ১৫১জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৭হাজার ৬৬৯জন ও নারী ভোটার ৩৫হাজার ৪৮২জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আটজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার মধ্যনগর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এখানে কোনো প্রার্থীই নির্বাচন আচরণবিধি মানছেন না। ফলে মাইকিংয়ের উচ্চ শব্দ দূষণের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের চরম ক্ষতি হচ্ছে।
মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদার টিটো বলেন, এ উপজেলায় নির্বাচনী আচরণবিধির কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না দেওয়ার কারণে প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন। দিন নেই রাত নেই যে কোনো সময় শোডাউন, মিছিল ও মাইকিং করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, এই উপজেলায় এখনো নির্বাচনী আচরণবিধির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হয়নি। প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
সুনামগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার (মধ্যনগর উপজেলা) দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, এই উপজেলায় নির্বাচনী আচরণবিধির জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হয়েছে। তবে কাকে দেওয়া হয়েছে তাঁর নাম এখন মনে করতে পারছি না। প্রার্থীরা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকেন তাহলে বিষয়টি আমি দেখব।