স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক রূপচাঁন দাসকে বেধড়ক পিটিয়েছেন শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও তার দোকান কর্মচারী। এ ঘটনায় অধ্যাপক রূপচাঁন দাস প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শাল্লা থানার ওসিকেও জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
আহত অধ্যাপক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভূমি দখল নিয়ে শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারানো প্রার্থী দীপু রঞ্জন দাসের সঙ্গে ওই অধ্যাপকের বিরোধ চলছে। এর জের ধরে রোববার দুপুরে ওই শিক্ষক উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের সামনে আসার পরই দীপু রঞ্জন দাস ও তার দোকান কর্মচারী অনিক দাস শিক্ষককে বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাদের কবল থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেন। আহত অবস্থাতেই শিক্ষক শাল্লা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন এবং সুস্থ হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। কিন্তু এ ঘটনার পরই শাল্লা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান নিজ উদ্যোগে মামলার বদলে বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়ে থানায় বসেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উজ্জ্বল মিয়ার দোকানের ম্যানেজার গৌরচাঁদ দাস বলেন, দীপু রঞ্জন দাস তার হাতের ছাতা দিয়ে শিক্ষককে মারধর করেছেন। আমরা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।
অভিযুক্ত দীপু রঞ্জন দাসের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে তিনি কল কেটে দেন।
আহত শিক্ষক রূপচাঁন দাস বলেন, দীপু একজন দখলবাজ। আমি তার এসবের বিরোধিতা করায় আজ আমাকে মারধর করেছে। আমার হাত ও পায়ে বেদম আঘাত করেছে। আমি চিকিৎসা নিয়ে ওসি সাবকে বিষয়টি জানিয়ে রেখেছি। সুস্থ হয়ে মামলা করবো।
শাল্লা থানার ওসি মিজানুর রহমান কলেজ শিক্ষক আহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও বলেন, দীপু সাহেবের দোকান কর্মচারীর সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে গিয়ে তিনি সামান্য আহত হয়েছেন। আমি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বৈঠক করিনি। ওই শিক্ষক অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।