স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় নিজের রেকর্ডিয় জমি দাবি করে টিলা কেটে পিকনিক স্পট নির্মাণ করা হয়েছে। ইউনিয়নের কামারভিটা গ্রাম সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নোম্যান্স ল্যান্ডের পাশে গড়ে তোলা হয়েছে ‘বাচ্চুনগর পিকনিক স্পট’টি।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত এলাকায় নোম্যান্স ল্যান্ডের পাশের জমিতে পিকনিক স্পটের নামে টিলা কেটে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট করা হয়েছে। উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা জুটি বেঁধে অবাধ বিচরণ করছে এই পিকনিক স্পটে। এতে অসামাজিক কর্মকা- বৃদ্ধির আশঙ্কা এলাকাবাসীর। তারা আরও জানান, পিকনিক স্পটে যারা আসেন তারা নোম্যান্স ল্যান্ডের ভেতরে ঢুকে ফটোসেশন করেন। সন্ধ্যার পরও দেখা যায় তরুণ-তরুণীর জুটি। দিনের বেলায় স্কুল পালিয়ে আসা শিক্ষার্থীর জুটিও সময় কাটায় এই পিকনিক স্পটে। এই সুযোগে প্রবেশ ফি নেয়া হচ্ছে প্রতিজনে ৪০ টাকা করে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী এই স্পটে আসা-যাওয়া করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক প্রবীণ ব্যক্তি জানান, যুব সমাজ নষ্ট হওয়ার কারখানা খোলা হয়েছে বাচ্চুনগর পিকনিক ¯পটে। এমন স্পট যুবসমাজ নষ্টের অন্যতম পন্থা হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যুব সমাজকে বাঁচাতে এটি বন্ধ করতে হবে।
পিকনিক স্পটে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ৪ জন এক সাথে এসেছি। প্রত্যেকে ৪০ টাকা করে টিকেট কিনেছি। একটি পরিবারের জন্য এটা খুবই বেশি ফি।
আবুল হোসেন বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহে আসি এই পিকনিক স্পটে। বন্ধের দিন কিছু সময় পার করি এখানে।
পিকনিক স্পটের মালিক বাচ্চু মিয়া বলেন, আমি নিজের জায়গায় পাহাড় কেটে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করেছি। প্রতিদিন শতাধিক মানুষ আসে পর্যটন কেন্দ্রে। আমার পর্যটন কেন্দ্রে কোনো প্রকার অনৈতিক কর্মকা- করতে নিষেধ করি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমাছ উদ্দিন শিপু বলেন, কামারভিটা এলাকায় বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটে উঠতি বয়সের অনেক ছেলে-মেয়ে আসে। জুটি বেঁধে বসে টিলার উপরে ও নিচে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটায় তারা। শুনেছি সন্ধ্যার পর পর্যন্তও কোনো কোনো জুটি থাকে এখানে।
ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ বলেন, আমি ওই পর্যটন কেন্দ্রে যাইনি। যদি কোনো অপকর্ম বা অনাচার হয়, তাহলে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কেউ টিলা কাটলে এটা গুরুতর অপরাধ। সেটি প্রশাসনকে দেখার অনুরোধ আমার।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী বলেন, বাচ্চুনগর পিকনিক ¯পটে কোনো অনৈতিক কাজ হলে তা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমদাদুল হক শরীফ বলেন, বাচ্চুনগর পিকনিক ¯পট টিলা কেটে তৈরি করা হয়েছে, তা আমি জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।