হোসাইন আহমদ ::
জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচন, যে নির্বাচনই হোক- প্রচারণার মাঠে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেন। আর তা যদি হয় স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, তাহলে তো আর কথাই নেই। সাধারণ জনগণ তথা ভোটাররাও কষতে থাকেন নানা হিসাব-নিকাশ। তারাও ব্যস্ত হয়ে পড়েন পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার চেষ্টায়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাকে বেছে নেবেন- ভোটারদের মনে চলছে এরকম হিসাব-নিকাশ। এরকম হিসাব-নিকাশের বাইরের নন নতুন ভোটাররাও।
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ব্যস্ততার শেষ নেই। এমন প্রেক্ষাপটে ভোটারদেরও কদর বেড়েছে। স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে তারা সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করতে চান।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এমএ মান্নানের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উপজেলায় আরো উন্নয়নের তাগিদে এখানকার প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি, নতুন ভোটারদের প্রত্যাশা এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ একটু ভিন্ন। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ভোটারদের মধ্যে উত্তেজনা ততই বাড়ছে। চোখে তাদের এখন অনেক স্বপ্ন আর প্রত্যাশা। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এমএ মান্নান পুত্র ও অর্থনীতিবিদ সাদাত মান্নান অভি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ব্যবসায়ী হাজী আবুল কালাম, শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন দোলন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ার্যমান পদে অর্থনীতিবিদ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ সভাপতি সাদাত মান্নান অভি (আনারস প্রতীক), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম (মোটরসাইকেল প্রতীক), শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বুরহান উদ্দিন দোলন ঘোড়া প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। উপজেলা ভাইস চেয়ার্যমান পদে মোশাররফ হোসেন জাকির (মাইক), রুকনুজ্জামান রুকন (চশমা), মাওলানা জাহাঙ্গীর খাঁন (টিউবওয়েল), আনোয়ার হোসেন (তালা) প্রতীক; উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) দুলন রানী তালুকদার (পদ্ম ফুল), মোছা. নাজমা বেগম (প্রজাপতি), মোছা. রফিকা মহির (ফুটবল), জেসমিন আক্তার (হাঁস), খাইরুন নেছা (কলস) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে ১৫৫টি গ্রাম রয়েছে। মোট ভোটার ১,৪৫,৭৯৭ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৪,২৮৫ জন, মহিলা ভোটার ৭১, ৫১০ জন ও হিজড়া ভোটার ২ জন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ স¤পাদক মো. নাঈম আহমদ বলেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এম এ মান্নান দেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলায়। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে স্থাপনা নির্মাণসহ সার্বিকভাবে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থাপন করেছেন। তার সুযোগ্য পুত্র উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তার পিতার উত্তরসূরী হয়ে তিনিও আমাদের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবেন। যারা ব্যবসায়ী হয়ে জনপ্রতিনিধি হতে চান, তারা উন্নয়নের চেয়ে ব্যবসাকে প্রাধান্য দেবেন বেশি। তাই প্রার্থীর যোগ্যতা, আচার-আচরণ এবং কতটুকু উন্নয়ন বিগত দিনে করেছেন এবং আগামীতেও কেমন উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন- সেসব দিক বিবেচনা করেই ভোট দেবো।