স্টাফ রিপোর্টার ::
ছাতকে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীর হামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকা গুরুতর আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ভাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শংকরী রানী দে দপ্তরি রুবেল মিয়াকে বিদ্যালয় পরিষ্কার করার কথা বলেন। এতে রেগে যান রুবেল মিয়া। বিদ্যালয় পরিষ্কার করা তার কাজ নয় বলে তিনি প্রধান শিক্ষিকার দিকে তেড়ে আসেন। বাক-বিত-ার এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষিকা শংকরী রানীকে চেয়ার দিয়ে আঘাত করেন রুবেল মিয়া। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষিকারা এ সময় তার হাত থেকে চেয়ার কেড়ে নিলে তিনি আবারও লোহার রড দিয়ে প্রধান শিক্ষিকার মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হন প্রধান শিক্ষিকা শংকরী রানী দে।
গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার হাসপাতাল থেকে তিনি বাসায় ফেরেন।
এ ব্যাপারে আহত স্কুল শিক্ষিকার স্বামী চন্দন পাল জানান, হামলার ঘটনায় বৃহ¯পতিবার আমরা ছাতক থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছি। তবে হামলাকারীকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। অভিযুক্ত দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী রুবেল মিয়া ভাতগাঁও গ্রামের কাচা মিয়ার পুত্র।
এ ব্যাপারে জানতে রুবেল মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষিকা শংকরী রানী দে জানান, আমি ওই নৈশপ্রহরীকে বিদ্যালিয়টি পরিষ্কার করার জন্য বলতেই সে চেয়ার নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে এবং চেয়ার ও লোহার রড দিয়ে আামর ডান চোখ ও মাথায় আঘাত করে। তিনি এখন ডান চোখে একেবারেই দেখতে পারছেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে ছাতকের চেচান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন পাল জানান, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় উপজেলার গোটা শিক্ষকসমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।