স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং ১১টি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার। গত মঙ্গলবার (২১ মে) ডাকযোগে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের কাছে আবেদনটি পাঠানো হয়।
আবেদনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার উল্লেখ করেন, আমি শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী ছিলাম। আমার মার্কা ছিল আনারস। উক্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অবনী মোহন দাস ঘোড়া মার্কায় নির্বাচন করেন। নির্বাচনের আগে কালো টাকা এবং পেশী শক্তির চরম অপব্যবহার করতে থাকেন। অবনী মোহন দাসের পক্ষে প্রতিটি কেন্দ্রভিত্তিক বিপুল পরিমাণ টাকা বিতরণ ও ভোট ক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। এই রকম একটি অভিযোগের বিষয়ে একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ভোট ক্রয়ের টাকা বিতরণের সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে আটক করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাল্লা থানায় মামলা করেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার শাল্লা উপজেলার ১১টি কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করেন। তিনি আবেদনে জানান, নির্বাচনে অবমী মোহন দাসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রার্থী অবনী মোহন দাস ঘোড়া মার্কায় সর্বমোট ২৪ হাজার ৩৯৬ ভোট পায় বলে উল্লেখ করা হয় এবং তার নিকটবর্তী প্রার্থী ছিলাম আমি অর্থাৎ গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার (আনারস) প্রাপ্ত সর্বমোট ভোটের সংখ্যা ১৫ হাজার ৬৫৮। এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীরা হচ্ছেন দিপু রঞ্জন দাশ এবং এস এম শামিম যাদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা যথাক্রমে ২ হাজার ৩৪৪ এবং ১ হাজার ৫২২।
এ ব্যাপারে প্রার্থী গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। ১১টি কেন্দ্রের ভোট আবার গণনা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, আমার কাছে কোন আবেদন আসেনি, তবে আমি একটি অনুলিপি পেয়েছি এই সংক্রান্ত। ভোট পুনরায় গণনার বিষয়টি দেখবেন নির্বাচন কমিশন। আমি শুধু অবগত আছি।