1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ঢাবির লাইব্রেরি, অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিসিএস ও সরকারি চাকরির বিকল্প : আমীন আল রশীদ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে প্রবেশের জন্য সিরিয়াল দেয়া হচ্ছে ব্যাগ রেখে। খোলে সকাল ৮টায়। কিন্তু লাইব্রেরিতে ঢুকতে ব্যাগ রাখার লাইন শুরু হয়ে যায় ভোর না হতেই। এমনটা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের চিত্র। কারণ গ্রন্থাগারে ঢুকতে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে না থেকে ব্যাগ, বই বা পত্রিকা দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জায়গা দখলে রাখেন। এই দৃশ্য মোটামুটি নিয়মিত।
এরকম বাস্তবতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একটি বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি বেশ তর্ক হলো। তার উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম খবরের শিরোনাম করেছে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ‘বিসিএস পড়া’ বন্ধ হচ্ছে। খবরটি পুরোপুরি সঠিক না হলেও এই ঘটনায় কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসছে।
১. বিসিএস-প্রস্তুতি নেয়ার জন্য যারা লাইব্রেরিতে যান, সত্যিই কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করছে? ২. লাইব্রেরিতে গিয়ে কে কী পড়বেন, কর্তৃপক্ষ কি সেটি ঠিক করে দিতে পারে বা কে কী পড়ছেন সেটি কর্তৃপক্ষ কীভাবে মনিটর করবে? ৩. বিসিএসের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে চাকরিপ্রার্থীদের কেন এত ভিড়? ৪. কেন এখানে প্রবেশের জন্য প্রতিদিন ভোর থেকেই শিক্ষার্থীদের লম্বা লাইন তৈরি হয় এবং কেন লাইব্রেরি খোলার অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা লম্বা সারিতে তাদের ব্যাগ বা অন্য জিনিসপত্র রেখে যান? ৫. বিসিএসের প্রতি শিক্ষার্থীদের কেন এত আগ্রহ বা বিসিএস কেন অন্য যে কোনো চাকরির তুলনায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেল? ৬. চাকরিপ্রার্থীদের বিরাট অংশই কেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে চাকরির জন্য ‘হাঁসফাঁস’ করেন? বৈধ পথে নিরাপদ জীবন, আবার চাইলে প্রচুর ঘুষ খেয়ে বিপুল বিত্তবৈভবেরও মালিক হওয়া যায় – এ কারণে?
গণমাধ্যমের খবর বলছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ‘নবীনবরণ ও অগ্রায়ন’ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে আগামী মাস থেকে শিক্ষার্থীদের কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করতে হবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও হলে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বহিরাগত শিক্ষার্থীদের প্রবেশ বন্ধ হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্র যারা সেখানে (লাইব্রেরি) গিয়ে বিসিএসের জন্য পড়েন, তাদের আগামী মাস থেকে সেখানে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
প্রশ্ন হলো, একজন শিক্ষার্থী- তিনি হন বর্তমান শিক্ষার্থী অথবা সাবেক, লাইব্রেরিতে গিয়ে পত্রিকা পড়বেন, একাডেমিক বই পড়বেন, কোনো গবেষণার কাজ করবেন নাকি বিসিএস গাইড পড়বেন, সেই অধিকার নিয়ন্ত্রণ করার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আছে কিনা?
দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের মূলত একাডেমিক পড়াশোনার জন্য যাওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশই এখানে যান চাকরি, বিশেষ করে বিসিএসের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। কিন্তু কেন? একাডেমিক পড়াশোনার জন্য যে পরিমাণ ‘লাইব্রেরি ওয়ার্ক’ করার কথা, সেটির প্রয়োজন হচ্ছে না, নাকি শিক্ষার্থীরা সেই ধরনের পড়াশোনায় আগ্রহ বা আনন্দ পাচ্ছেন না? তাদের মূল লক্ষ্য কি এই যে, কোনোমতে সার্টিফিকেট জোগাড় করেই, এমনকি পড়ালেখা শেষ হওয়ার আগেই চাকরির জন্য, বিশেষ করে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেয়া? বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কি শুধু সার্টিফিকেটধারী চাকরিপ্রত্যাশী তৈরি করা?
কেন সবাই বিসিএস ক্যাডার হতে চান? সামাজিক সুরক্ষা আছে, বিয়ের বাজার ভালো, এইসব কারণেই কি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের লাইব্রেরির সামনে এই লম্বা লাইন? এটা কি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি নাকি এটি দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার বাইপ্রোডাক্ট?
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় একটি ভয়াবহ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মেডিকেল, বুয়েট ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেটধারীদেরও অনেকে বিসিএস ক্যাডার, বিশেষ করে পুলিশ, প্রশাসন ও পররাষ্ট্র ক্যাডারে চাকরি নিয়ে চলে যাচ্ছেন। তাহলে রাষ্ট্র ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষিবিদ বানানোর জন্য তাদের পেছনে কেন জনগণের ট্যাক্সের পয়সা খরচ করল? কেন তারা এরকম ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেও পুলিশ বা আমলা হতে চান? ক্ষমতা ও অর্থের জন্য?
‘বিসিএস কেন চাকরি প্রার্থীদের পছন্দের শীর্ষে’ – এই শিরোনামে ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর একটি সংবাদ প্রকাশ করে একটি ইংরেজি দৈনিক, সেখানে ফেরদৌস রায়হান সৈকত নামে এক চাকরিপ্রার্থীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়, যিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে ইন্টার্নশিপ করার পাশাপাশি বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “দেশে থেকে ভালো কিছু করতে হলে বিসিএস এখানে বেস্ট অপশন। এমনকি বুয়েটের শিক্ষার্থীদের কথাও বলা যায়, সেখানকার অধিকাংশ শিক্ষার্থী দেশের বাইরে চলে যান। যারা এখন দেশে থাকেন তারাও নিজেদের পেশায় যথেষ্ট সম্ভাবনা না দেখে পররাষ্ট্র বা প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিতে চাচ্ছেন বা দিচ্ছেন।”
প্রশাসন ক্যাডার স¤পর্কে নানারকম গল্প ও মিথ চালু আছে। বলা হয়, কেউ একবার প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেলে তার জীবন সার্থক। কেননা সকল ক্ষমতার প্রাণভোমরা এই ক্যাডারে। স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, জলবায়ুর মতো মন্ত্রণালয়ের সচিব এমনকি বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও মহাপরিচালক পদেও বসে যান প্রশাসন ক্যাডারের লোকেরা। প্রশ্ন হলো, একজন চিকিৎসক বা মেডিকেল জ্ঞানস¤পন্ন লোক কেন স্বাস্থ্য সচিব হবেন না? একজন কৃষিবিদ কেন কৃষি সচিব হবেন না? ভূগোল, পরিবেশ, পানি ও নদী বিষয়ে একাডেমিক যোগ্যতা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে, এমন লোক কেন পরিবেশ সচিব হবেন না? একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও কেন একজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর খবরদারি করবেন? প্রশাসন ক্যাডারের লোক বলেই তিনি জেলা প্রশাসক এবং জেলার সকল ক্ষমতার মালিক হয়ে যাবেন? এই যে সবকিছু প্রশাসন ও পুলিশকেন্দ্রিক – এটিই মূলত শিক্ষার্থীদেরকে বিসিএসের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে তারা যেকোনো মূল্যে প্রশাসক হতে চায়। পুলিশ হতে চায়। সে শিক্ষক হতে চায় না। কারণ একই যোগ্যতার এবং একই সময়ে চাকরিতে যোগ দিয়েও প্রশাসন ক্যাডারের একজন অফিসার যত দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে সচিব হয়ে যান, একজন কলেজ শিক্ষক ততদিনে সহযোগী অধ্যাপকও হতে পারেন না। বিরাট অংশের শিক্ষক অধ্যাপক হওয়ার আগেই অবসরে যান। অথচ তিনি দেখেন, তার সহপাঠী, তার রুমমেট প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে ক্ষমতা ও অর্থবিত্তের মালিক তো হয়েছেনই, উপরন্তু প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদেও আসীন হয়েছেন – যখন তিনি কোনো মফস্বলের কোনো একটি কলেজের বড়জোর অধ্যক্ষ।
সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির এই বৈষম্য, অর্থ ও ক্ষমতার সু¯পষ্ট পার্থক্য তরুণদেরকে শিক্ষক বা অন্য কোনো সৃজনশীল পেশায় যেতে উদ্বুদ্ধ করে না। সবার মনের ভেতরে প্রশাসক হওয়ার বাসনা।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার যে কী হাল, সেটি প্রতি বছরই টের পাওয়া যায় যখন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেশী ভারত এমনকি পাকিস্তানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকলেও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি যে বুয়েট ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ব করা হয়, তার নামটিও থাকে না। তার মানে আমাদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাটি ত্রুটিপূর্ণ? ত্রুটিপূর্ণ বলেই শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ হওয়ার আগেই চাকরির জন্য গাইড বই পড়তে শুরু করে দেন? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি শুধু চাকরিজীবী বা চারকিপ্রত্যাশীই তৈরি করে?
তাহলে সমাধান কী?
১. অনেকেই মনে করেন, শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। কেননা অনেক সময়ই প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বা ডিগ্রির সঙ্গে চাকরি বা কাজের কোনো মিল থাকে না। যে কারণে ডাক্তারি পড়েও একজন আমলা হয়ে যাচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে যোগ দিচ্ছেন পুলিশে। এতে শিক্ষার যে আসল উদ্দেশ্য, সেটি ব্যহত হচ্ছে কি না – সেই প্রশ্ন উত্থাপনের সময় এসেছে।
২. বিষয়ের সঙ্গে স¤পর্কিত কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। পেশা অনুযায়ী সব পেশায় সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। পেশাগত বৈষম্য, বিশেষ করে সরকারি চাকরিতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হবে। এটি করা গেলে সবাই বিসিএস প্রশাসনে যাওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বেন না।
৩. বিসিএসের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়েও ভাবতে হবে। কেননা বিসিএস মূলত একটি মুখস্ত তথ্যনির্ভর পরীক্ষা। একজন শিক্ষার্থী মাস্টার্স পর্যন্ত যা পড়েছেন, তার বাইরেও অংক, ইংরেজি, বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞানের নামে এমন সব প্রশ্ন প্রিলিমিনারিতে করা হয়, যার সঙ্গে এখন উন্নত বিশ্বের সরকারি চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের তুলনা করা দরকার। এমনকি প্রতিবেশী ভারতও সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষা এবং পদ্ধতিও পর্যালোচনা করে দেখা দরকার, বাংলাদেশ কোথায় আছে?
৪. বেসরকারি খাতে চাকরির অনিশ্চয়তা বাড়ছে। করপোরেট জগতের চাকরি নিয়েও বিরাট অংশই হতাশ। সৃষ্টিশীল চাকরিতে তরুণরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে রাষ্ট্রকে এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে যে, দ্রুত ধনী হওয়ার প্রবণতা পুরো জাতির মগজে ঢুকে গেল? যেখানে ধনী হওয়ার প্রধান উপায় হচ্ছে ঘুষ-দুর্নীতি। এখান থেকে বের হওয়ার উপায় কী? সরকারি চাকরি মানেই সেটি নিরাপদ, আর বেসরকারি চাকরি মানেই কচুপাতায় পানি – এই ধারণা নিরসনে রাষ্ট্রেরও দায় আছে, দায়িত্ব আছে।
৫. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই তরুণদেরকে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়া এবং চাকরি না খুঁজে চাকরি দেয়ার মতো যোগ্য ও দক্ষ হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই দেশে উদ্যোক্তা হওয়া কতটা সহজ? ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক লোন থেকে শুরু করে ব্যবসা শুরুর প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করার প্রক্রিয়াগুলো কতটা জনবান্ধব? ব্যবসা শুরুর পরে কর ও ভ্যাটের জাল এবং এখানে-ওখানে চাঁদা; ব্যবসার অনিশ্চয়তা – সবমিলিয়ে উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হওয়ার পথটা যে এখনও খুব মসৃণ নয়, সেটিও নির্মম সত্য। বস্তুত এইসব সত্যের কারণে নিরাপদ জীবনের জন্য শিক্ষিত তরুণদের প্রথম পছন্দই হলো সরকারি চাকরি, বিশেষ করে বিসিএস।
সুতরাং রাষ্ট্রের সামগ্রিক কাঠামো পরিবর্তন করা না গেলে; সরকারি চাকরির বিকল্প উৎসগুলোর ব্যাপারে মানুষের আস্থা ও ভরসা তৈরি করা না গেলে বিসিএস প্রস্তুতির জন্য ভোর রাতে লাইব্রেরির সামনে গিয়ে ব্যাগ রেখে আসার প্রবণতা বন্ধ হবে না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com