স্টাফ রিপোর্টার ::
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, সুনামগঞ্জ, আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়ে গ্যাস বিল পরিশোধের বই না থাকায় গ্রাহকরা নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। গ্রাহকেরা গ্যাস অফিসে গিয়ে বই চাইলে একটি করে পাতা ছিঁড়ে দেন সংশ্লিষ্টরা। এতে গ্রাহকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে গ্যাস অফিসের কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা জানান, আমাদের কার্যালয়ে গ্যাস বিল পরিশোধের বই সংকট রয়েছে। সিলেট গ্যাস কার্যালয়েও গ্যাস বিল পরিশোধের বই নেই। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশে যেমন অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের তাগদা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন, ঠিক এই পদ্ধতিতে আমাদের গ্যাস গ্রাহকদের বিল পরিশোধ করার তাগদা রয়েছে। এই জন্য আমাদের কার্যালয়ে বই সরবরাহ করা হচ্ছে না। আমরা গ্রাহকদের বুঝিয়ে বলে দিচ্ছি। তারা নিজেরা মোবাইল থেকে গ্যাস বিল পরিশোধ করতে পারবে। কিন্তু কোনো গ্রাহক এটা বুঝতে চাননি।
এই বিষয়ে সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল হক জানান, সুনামগঞ্জ শহরে প্রায় ৫ হাজার গ্যাসের গ্রাহক রয়েছেন। প্রত্যেক গ্রাহকের গ্যাস বিল পরিশোধের বইয়ে গ্রাহক সংকেত নাম্বার আছে। এই নাম্বার থেকে বিকাশ বা রকেটে অথবা অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা যাবে। তিনি জানান, নিজের মোবাইল থেকে বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথে পরিশোধের ম্যাসেজ চলে আসবে এবং ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ সাশ্রয় হবে। দেশের যেকোনো স্থান থেকে বিল পরিশোধ করা যাবে। এখন সকল কার্যালয়ে বই দিয়ে বিল পরিশোধ পদ্ধতি বাতিল হতে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ডিজিটাল থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হিসাবে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরাও গ্রাহকদের পরামর্শ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলতে সহযোগিতা করছি।
পৌর শহর হাছননগর এলাকার বাসিন্দা এরশাদ মিয়া বলেন, আমাদের যদি গ্যাস বিল অনলাইনে পরিশোধ করতে হয়, তাহলে গ্রাহকদের সচেতন করতে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিতে হবে।
নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মিলন খান বলেন, বিভিন্ন অনলাইনের দোকানে গেলে দেখা যায় বিল পরিশোধ করতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা সার্ভিস চার্জ দাবি করে। কিন্তু সরকারি সার্ভিস চার্জ মাত্র ১০ টাকা।
জামাইপাড়া এলাকার নিশি সরকার বলেন, সাধারণ গ্রাহকের অনলাইন স¤পর্কে তেমন ধারণা নেই। ফলে এইভাবে বিল পরিশোধ করাও গ্রাহকের চরম ভোগান্তি। আগে অফিস থেকে বিল পরিশোধ করার জন্য বই দেয়া হতো। কিন্তু তারা পরিকল্পিত কোনো পদক্ষেপ না নিয়েই বই বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছেন। যার ফলে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।