সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দোল্লাহিয়ান মারা গেছেন। রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠেছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি কী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে নাকি এর পেছনে রয়েছে কোন ষড়যন্ত্র।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পেছনে খারাপ আবহাওয়াই ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিমান বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক হেলিকপ্টার পাইলট পল বিভারের মতে, মেঘ, ঘন কুয়াশা এবং কম তাপমাত্রা হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্তের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, খারাপ আবহাওয়ার বিমান যেমন মেঘের উপর দিয়ে উড়তে পারে, হেলিকপ্টার সেটা পারে না। তাকে মেঘ-কুয়াশার ভেতর দিয়েই চলতে হয়।
দেশটির আধা সরকারি সংবাদমাধ্যম মেহর নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার সাথে জড়িত নয় বলে জানিয়েছে ইরানের চির শত্রু ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। একই ধরণের তথ্য দিয়েছেন মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চাক শুমার। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা তাকে জানিয়েছে- এতে ষড়যন্ত্রের প্রমান পাওয়া যায়নি। খারাপ আবহাওয়ার কারণেই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একে দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট যে হেলিকপ্টারে চড়ে ফিরছিলেন সেটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। একের পর এক মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় নাজুক অবস্থা ইরানের এভিয়েশন খাতের। দেশটির বেশিরভাগ হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের আগে তৈরি বা কেনা। বেল ২১২ মডেলের এই হেলিকপ্টারটিও অনেক পুরনো। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশও কিনতে পারে না দেশটি। ফলে পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হয় তাদের।
গত রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সাথে ছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য কর্মকর্তারা। ফেরার পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।