ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলায় ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলকপুর বাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষের সমর্থকেরা রবিবার (১৯মে) পৃথক সময়ে নির্বাচনী জনসভা আহ্বান করা হয়। কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান থাকায় এবং সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় এই দুটি জনসভা প- হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোলকপুর বাজারে কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় রবিবার বিকেল তিনটার দিকে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম আহমেদ মুরাদের পক্ষে নির্বাচনী জনসভা আহ্বান করা হয়। নির্বাচনী জনসভা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে তাঁদের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়। আবেদন করার পর থেকেই ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকেরা নির্বাচনী জনসভা করার জন্য ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করেন এবং মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেন। একইদিন বিকেল পাঁচটার দিকে গোলকপুর বাজারে সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসরিন সুলতানার দিপার পক্ষে নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওর) কাছে ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁদের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। শনিবার রাতেই নির্বাচনী জনসভা উপলক্ষে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করা হয়। গ্রামে গ্রামে লোকজন পাঠিয়ে সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রচারণাও চালানো হয়।
ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম আহমেদ মুরাদ বলেন, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে গোলকপুর বাজারে আমার গণজোয়ার ঘটবে এমনটি বুঝতে পেরে অপর এক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী জনসভা আহ্বান করা হয়েছিল। প্রশাসন থেকে অনুমতি না পাওয়া আমরা সভা করিনি।
আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসরিন সুলতানা দিপা বলেন, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নটি আমার নিজ ইউনিয়ন। গোলকপুর বাজারে আমার নির্বাচনী সভাটি বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে বুঝতে পেরে অপর এক প্রার্থী সেখানে নির্বাচনী সভা ডেকেছিল। প্রশাসন খেকে অনুমতি না পাওয়ায় আমরা সভা করিনি।
ধর্মপাশার ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রায় ১০০ফুট দূরত্বের মধ্যে নির্বাচনী পৃথক জনসভা আহ্বান করায় সংঘর্ষ এড়াতে নির্ধারিত সময়ের আগেই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মুঠোফোনে জানিয়ে দিয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ জনসভা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।