স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরের শ্রীপুরে বাজারে পেন্সিল ব্যাটারি আকৃতির ‘বোমাসদৃশ’ বস্তুর বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত দু’জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারে ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে মেকানিক আনোয়ার হোসেন (২০), একই গ্রামের মৃত কপিল উদ্দিনের ছেলে নুরুল হুদা (৩২) ও তার ভাই আনিস মিয়া (২৭)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দীন। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, শ্রীপুর গ্রামের বর্তমান মেম্বার আবুল কালামের ছোট ভাই সাজু মিয়া (৩৮) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পেন্সিল ব্যাটারির মতো একটি বস্তু কুড়িয়ে পান। পরে সে এটিকে নিয়ে প্রথমে মেকানিক রতনের দোকানে নিয়ে যায়। রতন কাজে ব্যস্ত থাকায় পরে নিয়ে আসে মেকানিক আনোয়ার হোসেন (২০)-এর দোকানে। তিনি এই বস্তুটি চিনতে না পেরে এটাকে চেক করতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে আনোয়ার, নুরুল হুদা ও তার ভাই আনিস মিয়া গুরুতর আহত হয়। এসময় শব্দ শুনে বাজারের লোকজন জড়ো হয়ে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. হেলাল উদ্দিন ও রিয়াজ উদ্দিন গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেন, নুরুল হুদাকে রাত ৯টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। আর আনিস মিয়া (২৭)কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি এখন কানে শুনতে পারছেন না।
ঘটনার খবর পেয়ে তাহিরপুর সার্কেল এসপি নাসিম উদ্দিন ও ওসি নাজিম উদ্দীন হাসপাতালে যান।
গুরুতর আহত আনোয়ার জানান, আমি বুঝতে পারেনি এই পেন্সিল মতো বস্তুটিকে। এটিকে মিটার দিয়ে চেক করতে গেলেই বিস্ফোরণ হয়। পেন্সিল ব্যাটারি মতো দেখতে বস্তুটির দু’টি তারও ছিল।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, পাথর ভাঙার জন্য ব্যবহার করা ছোট পেন্সিল ব্যাটারি আকৃতির বোমা দুর্ঘটনাবশতঃ বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। যদি নাশকতার পরিকল্পনায় এমনটি হয়ে থাকে তা হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।