স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও পথসভা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল সোমবার দিনভর জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ঝরঝরিয়া, কাইয়ারগাঁও, বাচ্চুনগর, সৈয়দপুর এবং লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের জানিগাঁও, মদনপুর, গোবিন্দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পথসভা, গণসংযোগ, উঠান বৈঠক করেছেন।
বেলা ৩টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ঝরঝরিয়াতে বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আবু হানিফের বাড়ির উঠানে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় মুরব্বী ছিদ্দিক আলীর সভাপতিত্বে ও সারোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল হুদা চপল। আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলী, মাস্টার আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, আব্দুল মালেক, বাহার খন্দকার, আবু হানিফ, মোস্তফা আলী, ইসমাইল হোসেন, নজরুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, কবির আহমদ মোশাহিদ প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা স¤পাদক সবুজ কান্তি দাশ, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র নুরুল ইসলাম বজলু, সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, এডভোকেট আমিনুর রশিদ রনক, শ্রমিক লীগের জেলা স¤পাদক সাইফুল ইসলাম মুবিন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এহসান আহমেদ উজ্জ্বল, সাধারণ স¤পাদক মাজহারুল ইসলাম উকিল, পিন্টু রায়, কাওছার তালুকদার, এনাম আহমদ, জেবুল আহমদ, সামিয়ান তাজুল, এডভোকেট আমিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি দীপংকর কান্তি দে, সহ সভাপতি সামসুল আবেদীন রাজন প্রমুখ।
চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল হুদা চপল বলেন, বিগত পাঁচ বছর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় যে সীমিত বরাদ্দ পেয়েছি, তা দিয়ে এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৮১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করেছি। বিভিন্ন সড়ক সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করেছি। আমি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাব।
খায়রুল হুদা চপল আরও বলেন, করোনা, বন্যাসহ অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমি সব সময়ই আপনাদের পাশে ছিলাম। আগামীতেও নদীর উত্তরপাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি হালুয়ারঘাট-ধারারগাঁও সেতু নির্মাণ ও ডলুরা শুল্ক স্টেশন স্থল বন্দরের জন্য আমিও দীর্ঘদিন ধরেই নানাভাবে কাজ করছি। তৎকালীন এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সাহেবকে নিয়ে ডলুরা পরিদর্শন করি। এছাড়াও এই দপ্তরে অনেকবার গিয়েছি। সেতুর জন্য ও বর্তমান সংসদ সদস্যের সাথে আমিও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কারণ এই সেতু নির্মাণ ও স্থলবন্দর হলে এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। এই এলাকায় প্রচুর সবজি ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদন হয় এগুলোর বাজারজাত সারাদেশে সহজতর হবে। পরে কাইয়ারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে গণসংযোগ করেন।