একটি পত্রিকায় বলা হয়েছে, “নীতিমালা অনুযায়ী কোনো নদীর উপর নির্মিত সেতু’র এক কিলোমিটারের মধ্যে খনন কাজ না করতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর উপর রাণীগঞ্জ সেতুর আশেপাশে কয়েকশ ফুটের মধ্যে ড্রেজারের সাহায্যে বালু ও বালুমিশ্রিত মাটি উত্তোলন করছে মেসার্স একতা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। অবাধে বালু উত্তোলন করায় সেতুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় দৈনিকে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন আদালতের গোচরীভূত হয়েছে।”
গত শুক্রবার (১০ মে ২০২৪) দৈনিক সুনামকণ্ঠে বলা হয়েছে, “দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত ‘অবাধে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে রাণীগঞ্জ সেতু’ শীর্ষক সংবাদটি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।” জনগণের পক্ষ থেকে আদালতকে এইরূপ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
বর্তমান বাংলাদেশে সর্বাস্তৃত অনিয়ম-দুর্নীতি চর্চার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আরও বেশি করে প্রকৃতিবান্ধব হতে হবে, এর কোনও বিকল্প নেই। আমাদের সমাজসাংস্থিতিক পরিসরে মানবিকতার বিকাশের পথ আরও অবারিত হয়ে উঠবে বিচার ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করেই। এভাবেই বিশ্বপ্রকৃতির স্বাভাবিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়ে মানবসভ্যতা প্রগতির পথে গতি লাভ করবে।
বর্তমান বাংলাদেশে পাহাড়, নদী, হাওর, বন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সর্বত্র প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক সম্পদ আহরণে সচেষ্ট ভোগবাদী কার্যকলাপ অবাধে চলছে এবং গণমাধ্যমে তার সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এইসব প্রতিটি ক্ষেত্রে আদালতের পক্ষ থেকে এইরূপ ‘স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ’-এর মতো প্রতিরোধ তোলা সত্যিই প্রশংসনীয়। আদালতের এই নির্দেশ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।