1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ধান-চাল সংগ্রহে কৃষককে হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা

  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে বোরো ধান, চাল এবং গম সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জুম ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান, চাল এবং গম সংগ্রহের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি।
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জুম ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চলতি মৌসুমে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহকালে কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার কৃষকেরা টেলিফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চললেও জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ আমরা বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গম কেনার উদ্বোধন করেছি। এর আগে (২১ এপ্রিল) আমরা খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করেছি। বোরোতে এবার ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা। একই সঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকেরা উপস্থিত ছিলেন। আরসি ফুড (আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক), ডিসি ফুড (জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক), কৃষি উপপরিচালক, কৃষক, চালকল মালিকেরা ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের নির্দেশনা দিয়েছি। বলা হয়েছে সঠিক সময়ে সংগ্রহ (ধান, চাল ও গম) করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, হাওরের ধানকে প্রাধান্য দিয়ে হাওরে বরাদ্দ বেশি দিয়েছি। কৃষক যেন হয়রানি না হয়, সে জন্য প্রতি ইউনিয়নে তিনজন কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তার কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দেওয়া হয়েছে। যে কৃষকেরা ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন, তালিকা পাঠিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি গিয়ে মিটার দিয়ে ধানটা পরীক্ষা করে আসবেন। আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি থাকলে তাঁদের বলবেন আরও শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো শ্রমিক যেন কৃষকদের হয়রানি না করে। সে জন্য ডিসি ও আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। কোনো কৃষক যেন কোনোভাবে অপমানিত ও হয়রানি না হয়, সেই বিষয়ে আমরা সদা সচেষ্ট থাকব। যদি সেটা কেউ করে (কৃষককে হয়রানি), তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
অভিযোগ জানাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, কোয়ালিটির সঙ্গে যাতে কোনো আপস না হয়, সেটাই আমাদের নির্দেশনা।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সদর উপজেলা খাদ্যগুদামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ১২৮০ টাকা দরে ধান ক্রয় করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নান, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিএম মুশফিকুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হক, খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল আহাদ, হাজী আবুল কালাম প্রমুখ।
অভ্যন্তরীণ বোরো ধান, চাল এবং গম সংগ্রহ-২০২৪ মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলায় ২৯৮১১ মে.টন ধান, ৯৬৮৪ মে. টন সিদ্ধ চাল, ৯৯৫৪ মে.টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ৭ মে থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। প্রতি কেজি ধানের সংগ্রহ মূল্য ৩২/- (বত্রিশ) টাকা; প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের সংগ্রহ মূল্য ৪৫/- (পয়তাল্লিশ) টাকা ও প্রতি কেজি আতপ চালের মূল্য ৪৪/- (চুয়াল্লিশ) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম দিন সুনামগঞ্জ খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করেন সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের আব্দুল হেকিম ও আব্দুল হাই নামের দুইজন কৃষক। প্রতি কৃষক ৩টন করে গুদামে ধান বিক্রি করেন। ন্যায্য দামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা। সরকারের এই নির্ধারিত মূল্যে কৃষকরা ধান বিক্রি করলে লাভবান হবেন জানিয়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কৃষক অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে কৃষকরা গুদামে এসে নির্বিঘেœ ধান বিক্রি করতে পারবেন। ধান ক্রয় কার্যক্রম কৃষকদের অবগত করতে সর্বত্রই মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আন্তরিক থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com