স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও খরা সহিষ্ণু আউশ ধানের জাত বিনাধান-১৯, বিনাধান-২১ এর বীজ বিতরণ ও উচ্চ ফলনশীল প্রিমিয়াম কোয়ালিটি সম্পন্ন বিনা-২৫ ধানের নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হাসননগরে বিভিন্ন এলাকার দেড় শতাধিক কৃষকের মধ্যে বিনাধান-১৯ ও বিনাধান-২১ এর বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। এর আগে হাওরে বিনাধান- ২৫ এর নমুনা কর্তন করেন তিনি।
বীজ বিতরণ ও শস্য কর্তনের পর স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, সুনামগঞ্জ প্রাকৃতিক দুর্যোগের এলাকা। অসময়ে বন্যা এসে ফসল তলিয়ে যায়। তাই আমরা হাওরের জন্য বিশেষ ধান উদ্ভাবন করেছি। যে ধানের ফলন বেশী এবং পানি আসার আগেই কর্তন করা যায়। নিয়ম মেনে বিনা ধান চাষ করলে অন্যান্য ধানের চেয়ে বেশী ফলন হয়। বিনা ধানের রোগ বালাই কম হয়, সার ও কম লাগে তাই খরচ কম।
বিনা সুনামগঞ্জ উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুন নবী মজুমদারের সভাপতিত্বে ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মানিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, অতিরিক্ত উপ পরিচালক (শস্য) শওকত ওসমান, বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিফ হোসাইনসহ স্থানীয় কৃষকরা।