1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

হাওরে আইন ভেঙে মাছ আহরণ, কর্তৃপক্ষ নীরব

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
Exif_JPEG_420

শামস শামীম ::
হাওরের জলাশয় শুকিয়ে মাছ আহরণ করলে ১ থেকে ২ বছরের দ-, ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান থাকলেও চলতি বছর প্রায় ৫ শতাধিক জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু একটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অতীতেও হাওরের প্রাণ ও প্রকৃতি বিনাশী এই কার্যক্রম প্রকাশ্যে চললেও আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার কোন রেকর্ড পাওয়া যায়নি। অথচ বর্ষায় গরিব ও অসহায় মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ করতে দেখা যায়। প্রকৃতি ও পরিবেশ ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ওয়াটার লর্ডরা জলমহালের নিয়ন্ত্রণে থাকায় মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসন আইনী ব্যবস্থা নেয় না। ফলে ইজারাদাররা বেপরোয়া হয়ে প্রকাশ্যে আহরণের মওসুমে সেচযন্ত্র ব্যবহার করে মাছ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। এতে হাওরের মিঠাপানির অনেক প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। হুমকিতে পড়েছে জলাশয়ে বেঁচে থাকা অন্যান্য জীববৈচিত্র্যও।
হাওর আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, হাওরাঞ্চলের প্রকৃতিপ্রেমী সুধীজন ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর জলাশয় সেচে মাছধরার অভিযোগে অন্তত ২০টির মতো লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। মোবাইল ফোনে জেলা প্রশাসক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা, উপজেলা, মৎস্য কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদেরও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রশাসক কয়েকটি জলাশয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে জলাশয় সেচে মৎস্য আহরণ বন্ধ করলেও ইজারাদারদের না পাওয়ায় শ্রমিকদের দ- দেয়া সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- উপজেলা মৎস্য অফিস যথাসময়ে নির্বাহী প্রশাসনকে বিনাশি এই তৎপরতার বিষয়ে অবগত করেনা। অবগত করলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়না। ফলে দ্রুততম সময়ে সেচযন্ত্র লাগিয়ে মাছের বংশ নির্বংশ করে অবাধে মৎস্য আহরণ করে নেয় ইজারাদাররা। তবে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য অফিসের লোকজন ইজারাদারদের কাছ থেকে সুবিধা পেয়ে বিষয়টি চেপে যায় বলে সুধীজনের অভিযোগ আছে। তারা প্রশাসনের উপরের স্তরকে ইজারাদারদের পক্ষ নিয়ে হাওরের জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে অবাধে জলাশয় সেচার সুযোগ করে দেয়। যার ফলে প্রতি বছরই জলাশয় সেচা অব্যাহত আছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০ একরের ঊর্ধ্বে ৪০৫টি বদ্ধ জলমহাল, ২০ একরের নিচে ৬২৫টি জলমহাল ও ৭৩টি উন্মুক্ত জলমহাল রয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পভুক্ত আরো কয়েকটি বিশেষ জলমহাল রয়েছে। এসব জলমহাল প্রতি বছর চৈত্র মাসে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ইজারা দেওয়া হয়। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কাগজে কলমে সমিতিকে ইজারা দেওয়া হলেও মূলত পুঁজির অভাবের কারণে ওয়াটার লর্ডরাই নেপথ্যে থেকে জলমহাল শাসন করেন। তারা আইনের পরোয়া করেন না। মানেননা ইজারা নীতিমালা ও মৎস্য আইন।
জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও মৎস্যজীবীরা জানান, প্রতিবছর মাঘ মাস থেকে পুরো চৈত্র মাস পর্যন্ত মাছ আহরণের মওসুম চলে হাওরে। মৎস্য আহরণকালে জলমহাল না শুকিয়ে জলাশয়ে ৪ ফুট পানি রেখে ভাসা ভাসা মাছ আহরণ করার কথা। তাছাড়া মাছ বৃদ্ধির জন্য খনন, বৃক্ষ লাগানোসহ আরো কিছু কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে। মৎস্যজীবী ও হাওরের সচেতন কৃষকদের অভিযোগ, ইজারাদাররা এসবের কিছু না করে বরং জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরে মাছের নির্বংশ করছে। অনেকে জলাশয় শুকিয়ে বিশেষ বিষ প্রয়োগ করে মাটির নিচের মাছও বের করে নিয়ে আসছে। এ কারণে হাওরে মাছের উৎপাদন কমেছে এবং মূল্যও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষপ্রয়োগ করে মাটির নিচের মাছ আহরণ ও জলাশয় সেচে কেবল মাছই নয় যৈসব জীববৈচিত্র পানিতে বাঁচে এবং প্রাণবৈচিত্র্য পানিতে বসবাস করে তাও ধ্বংস হচ্ছে বলে জানান অভিজ্ঞজনেরা।
মৎস্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইজারানীতি ভঙ্গ করলে ইজারা বাতিলসহ আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। বর্ষা মওসুমে হাওরে মৎস্য নিধনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তখন চারদিকে পানিতে সয়লাব থাকে। মাছও থাকে প্রচুর। কিন্তু যখন পানি কমে মাছ কেবল জলাশয়ে আশ্রয় নেয় তখন এই অভিযান পরিচালনা করার কোনও তথ্য নেই। বরং বর্ষা মওসুমে এই অপরাধে প্রান্তিক ও হতদরিদ্র মৎস্যজীবীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করেছেন। তবে হাওরের মাছের বংশ নির্বংশ করে মৎস্য আহরণের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে এই সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন সুধীজন।
সম্প্রতি শাল্লা উপজেলার মাউতি গরালিয়া বিল সেচে মাছ ধরেছে ইজারাদারের লোকজন। উন্নয়ন প্রকল্পের এই জলাশয়টি খনন, বৃক্ষরোপণ, পরিকল্পিত মাছ আহরণের কথা থাকলেও সেটা মানেনি তারা। এ বিষয়ে কৃষকরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়াও এই উপজেলার রোয়াইল বিল, ভিতর চাপ্টা বিল, বৈশাখী বিলসহ বেশ কিছু বিল সেচযন্ত্র লাগিয়ে মাছ ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলি ইউনিয়নের কসমা বিল, ছিছরাবনি বিল, দিরাই চাতল বিল, লম্বা বিল, বালুচরা বিল, চন্দ্রগোণা বিল, দিঘা বিলসহ গুরুত্বপূর্ণ জলাশয়গুলো সেচযন্ত্র লাগিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরেছে ইজারাদারের লোকজন।
দিরাইয়ের চাতল বিল, ধর্মপাশা উপজেলার জয়ধুনা বিল, শান্তিগঞ্জের লাউগাঙ বিলে সেচযন্ত্র লাগিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরা হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নলডিগা, বান্দেরকোণাসহ একাধিক জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা হয়েছে। এই জলাশয়গুলো শুকিয়ে মাছ ধরার ঘটনায় এলাকাবাসী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে গত ২২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসে হাওর নিয়ে বিশেষ এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। সেখানে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের উদাসীনতায় জলাশয় শুকিয়ে ইজারাদাররা মাছ আহরণের ফলে হাওরের মিঠাপানির মাছ ও নানা জলজ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে বলে মতামত দেন সুধীজন। হাওরের মূল্যবান মিঠাপানির মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে এ দিকে নজর দেওয়ার দাবি জানান তারা। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। হাওরের প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষার জোরালো দাবি জানানো হয় ওই মতবিনিময় সভা থেকে।
হাওর আন্দোলনের নেতা নির্মল ভট্টাচার্য্য বলেন, এই মওসুমে প্রতিদিনই জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরায় মিঠাপানির মাছের বংশ নির্বংশ হচ্ছে। প্রকাশ্যে এই বিনাশী কার্যক্রম চললেও আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। এই অপরাধের জন্য কখনো ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কোন শাস্তির নজিরও নেই। অথচ মৎস্য সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করে বিনাপরোয়ানায় গ্রেপ্তারসহ দ-িত করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এটা না করে বর্ষাকালে গরিব মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে মাছ ধরার অপরাধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়। ওয়াটারলর্ডদের বেলায় আইনের প্রয়োগ নেই।
হাওর আন্দোলনের নেতা সালেহিন চৌধুরী শুভ বলেন, জলাশয় ইজারা দেওয়ার সিস্টেমেই গলদ আছে। টাকা দিয়ে অনেকে মৎস্যজীবী পরিচয়পত্র নিচ্ছেন। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা কখনো জলাশয় ইজারা পায়না। পেলেও টাকার অভাবে ওয়াটারলর্ডদের হাতে জলমহাল বিক্রি করে দেয়। তখন ক্ষমতা ও অর্থের দম্ভে ইজারাদাররা জলাশয় শুকিয়ে, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে মাছ ধরছে। হাওরের কৃষকদের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি এবার অন্তত ৫ শতাধিক জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা হয়েছে। যা হাওরের জীববৈচিত্র্যের জন্য বিরাট হুমকি।
সিএনআরএস-এর কর্মকর্তা শাহ কামাল বলেন, মৎস্য সুরক্ষা আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। হাওরে এই আইন প্রয়োগ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়না। তিনি বলেন, জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণে কেবল মাছই বিলুপ্ত হচ্ছেনা এর সঙ্গে পানিতে বসবাসকারী অন্যান্য জীববৈচিত্র্যও ধ্বংস হচ্ছে। মৎস্য সুরক্ষা আইনে এসব জলজজীব ও প্রাণবৈচিত্র্যেরও সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাওরে যুগযুগ ধরে প্রকাশ্যে সেচযন্ত্র লাগিয়ে মৎস্যনিধন চলছে। এটা থামানো না গেলে হাওর মাছশূন্য হয়ে যাবে। ওয়াটারলর্ডদের এই আগ্রাসন থামাতে মৎস্যবিভাগকে আরো আন্তরিক, দায়িত্ববান ও প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।
কৃষত নেতা অমরচাঁন দাস বলেন, আমাদের মাউতি গরালিয়া জলাশয় সেচে মাছ ধরা হয়েছে কিছু দিন আগে। আমরা বাধা দিলেও ইজারাদাররা মানেনি। উল্টো কৃষকদের হুমকি ধমকি দিয়েছে। তিনি বলেন, এই মওসুমে প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ইজারাদারদের শাস্তি দিলে এই প্রবণতা কমতো। কিন্তু সেটা না করে ইজারাদারের স্বার্থে বর্ষায় গরিব মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করা হয় যা খুবই দুঃখজনক।
শান্তিগঞ্জের বড়মোহা গ্রামের তানভির আহমদ বলেন, আমাদের গ্রামের লাউগাঙ জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরেছে ইজারাদার। আমরা লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় আমাদের হুমকি ধমকি দিয়েছে। জলমহাল লুটের মামলার ভয় দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণের বিরুদ্ধে কথা বললেই ইজারাদাররা জলমহাল লুটপাটের ভয় দেখায়। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলেনা।
লাউগাঙ জলাশয়ের ইজারাদার আজম আলী বলেন, আমরা জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরিনি। ক্ষেতে পানি সেচের জন্য সেচযন্ত্র লাগিয়েছিলেন কৃষকরা। আমরা কোনও অনিয়ম করিনি।
বেলা’র সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহেদা আক্তার বলেন, গত ২২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জে মতবিনিময়সভায় ভুক্তভোগী এমনকি সরকারের বিভিন্ন দফতরের লোকজনও স্বীকার করেছিলেন এই মওসুমে জলাশয় শুকিয়ে মাছের বংশ নির্বংশ করা হচ্ছে। কখনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমরাও বারবার হাওরের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের অবগত করে আসছি। কিন্তু তারা যথাযতভাবে নজর দিচ্ছেন না।
সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য অফিসার মো. শামসুল করিম বলেন, মৎস্য সুরক্ষা আইনে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরার অপরাধে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারসহ ১ থেকে ২ বছরের দ- এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ উভয় দ- দেওয়ার বিধি রয়েছে। এই আইন মৎস্য আহরণের মওসুমে প্রয়োগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অপরাধের জন্য সুনামগঞ্জে কখনো কোন ইজারাদারকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার কোন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে বর্ষায় এই আইন প্রয়োগের তথ্য রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগ করতে হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এই আইনের প্রয়োগ করতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট কেন চাননা জানতে চাইলে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
হাওরের মাছের উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর বিলম্বে পানি আসায় হাওরে মাছ কিছুটা কমেছে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেও মাছের উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। তবে এভাবে জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করলে অবশ্যই উৎপাদনেই প্রভাব পড়বেনা অনেক দেশি প্রজাতির মাছ ও জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তির আশঙ্কা আছে। আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, মৎস্য সুরক্ষা আইন প্রয়োগ সবসময়ই প্রয়োগ করার কথা। মৎস্য বিভাগ প্রসিকিউটর ও নির্বাহী বিভাগ বিচারের ভূমিকা পালন করবে। এবার সরাসরি কয়েকজন কৃষক আমার কাছে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ করলে আমি ইউএনও পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে ইজারাদারদের না পাওয়ায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দ-মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, হাওরের মিঠাপানির মাছের সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আমি বিশেষভাবে এটা নিয়ে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছি।

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com