সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
লাইসেন্স কার্ড সংকটের কারণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স সুবিধা চালু করেছিল। সেটি দিয়ে দেশের মধ্যে গাড়ি চালাতে কোনো সমস্যা না হলেও দেশের বাইরে চাকরি বা ভিসা-সংক্রান্ত বিষয়ে তা কাজে দিত না। তবে এখন থেকে ই-লাইসেন্স দিয়েই সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে।
গত রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএয়ের সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ভিসা প্রসেসিং, বিদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার, চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদেশগামীদের জন্য সুবিধা থাকবে ই-লাইসেন্সে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিআরটিএ কিউআর কোড সংবলিত ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করছে। মোটরযান চালকেরা ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে বা স্মার্ট মোবাইল ফোনে তা প্রদর্শন করে মোটরযান চালাতে পারবেন। এ ছাড়া ভিসা প্রসেসিং, বিদেশে ব্যবহার, চাকরিতে নিয়োগ ইত্যাদি প্রয়োজনে মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ও ‘ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স’ উভয়ই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।
বিআরটিএয়ের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ই-ড্রাইভিং লাইসেন্সে দেওয়া কিউআর কোড দিয়ে সরাসরি ডেটাবেইস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স-স¤পর্কিত তথ্য যাচাই করা যাবে। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এক বছর ধরে লাইসেন্স কার্ড দিতে না পারার সমস্যায় আছে বিআরটিএ। গত চার মাসের অধিক সময় ধরে স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন না পেশাদার চালক, সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে চালক পদে চাকরিরত আবেদনকারীরা। নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিআরটিএর মিরপুর ও বনানী কার্যালয়ে ভিড় করছেন তারা।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, লাইসেন্স কার্ড মুদ্রণ না হওয়ায় কার্ডের সংকটে রয়েছে। আর লাইসেন্স কার্ড মুদ্রণ করে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) প্রাইভেট লিমিটেড। এই কো¤পানির কাছেও এখন কার্ড নেই। এসব ঝামেলা থেকে বের হতেই গত বছর আগস্ট থেকেই ই-লাইসেন্স দেওয়া শুরু করেছিল বিআরটিএ।