1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জাতীয় পার্টি : কার্যালয় ও মার্কা নিয়ে টানাটানি

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জাতীয় পার্টিতে (জাপা) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে শুরু হওয়া অস্থিরতা আরও গভীর হচ্ছে। রওশনপন্থীদের সম্মেলনের পর দলীয় কার্যালয় ও মার্কা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে দলের উভয়পক্ষের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জি এম কাদেরপন্থীরা রওশনপন্থীদের নিয়ে চিন্তিত নয় বললেও নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তির প্রভাব তাদের সংসদেও সহ্য করতে হবে।
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬ আসনে সমঝোতা, রওশনপন্থী নেতাদের মনোনয়ন না দেওয়া এবং দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নির্বাচনের পর থেকেই প্রকাশ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে জাপা। রওশনপন্থীদের সম্মেলন ঘোষণার পর চলে অব্যাহতি-পাল্টা অব্যাহতি। ৯ মার্চ সম্মেলনের পর চূড়ান্ত হয়েছে বিভক্তি।
জাপার উভয় অংশের নেতারাই বলছেন, তাঁদের লক্ষ্য সারা দেশে দলকে সুসংগঠিত করা। এক বছরের মধ্যেই দলকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চান তাঁরা। এদিকে রওশনপন্থীদের সম্মেলনের আগেই ১২ অক্টোবর দশম জাতীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেন কাদেরপন্থীরা। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা, ৩০ আগস্টের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোর সম্মেলন স¤পন্ন করা এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতি জেলায় বর্ধিত সভার মাধ্যমে সংগঠনকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা।
মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুরুতর অপরাধ ছাড়া দল থেকে আগে অব্যাহতি পাওয়া নেতারা ক্ষমা চাইলে দলে ফিরতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
রওশনপন্থী নেতারাও বলছেন, এক বছরের মধ্যে তাঁরা প্রতি জেলা-উপজেলায় রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করবেন। আগে যারা জাপা ছেড়ে গেছেন এবং এরশাদের আদর্শ ধারণ করেও নিষ্ক্রিয় আছেন, তাদের রাজনীতিতে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়াও দলের ব্র্যাকেটবন্দী অন্য অংশগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
তবে এসব পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার আগে উভয় অংশের চিন্তায় দলীয় মার্কা ‘লাঙ্গল’ এবং দলীয় কার্যালয়। দল গোছানোর মিশনে নামার আগে উভয় অংশই এ দুটির নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। মার্কা ও কার্যালয় বর্তমানে কাদেরপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তারা তা হারানোর শঙ্কায় আছেন বলে দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
রওশনপন্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র সুনীল শুভ রায় জানান, জাপার নবম কাউন্সিলে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রধান পৃষ্ঠপোষককে দলের সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল; তবে পরবর্তী সময়ে তা বিকৃত করা হয়েছে। ফলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, রওশন এরশাদের ডাকা সম্মেলন বৈধ।
রওশনপন্থী জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার দাবি, লাঙ্গল মার্কা ও কার্যালয়ের প্রধান দাবিদার রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, আমরাই মূল জাতীয় পার্টি। আমরা আইনের মধ্য দিয়ে লাঙ্গল নিয়ে আসব। কার্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিগগিরই আমরা আইনগত প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে বিজয়নগরের পার্টি অফিস নিয়ে নেব।
মার্কা ও কার্যালয় প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় যাওয়া যেকোনো নাগরিকের অধিকার। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো লাভ হবে না। তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের দলের কেউ নন, দল থেকে বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা মিলে আলাদা দল করেছেন। এতে সংসদে কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতীয় পার্টির উভয় অংশের পেছনেই সরকারের ইন্ধন রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম বলেন, নেতৃত্ব সুবিধাবাদী হওয়ায় নির্বাচনের আগে সরকারের দরকার ছিল জি এম কাদেরকে, তখন তাকে কাজে লাগিয়েছে। এখন জি এম কাদেরকে চাপে রাখার জন্য রওশন এরশাদকে দিয়ে একাংশ বানিয়েছে। তাদের জনভিত্তি দিন দিন দুর্বল হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com