ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার লামামেউহারী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাই (৫৮) এর বিরুদ্ধে তার নিজ বসতঘর সংলগ্ন থাকা সরকারি গোপাটের জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুবিচার চেয়ে একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৪৫) গত বৃহ¯পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওর) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের লামামেউহারী গ্রামের আবদুল হাইয়ের বাড়ি সংলগ্ন ১০ফুট প্রস্থের প্রায় ১০০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সরকারি গোপাট (খাস জায়গা) একটি গোপাট রয়েছে। দীর্ঘবছর ধরে এই গোপাট দিয়ে গবাদি প্রাণি গোচারণ ভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি এলাকার মানুষজন, স্কুল -কলেজের শিক্ষার্থী ও মুসল্লিরা এই গোপাটটি ব্যবহার করে আসছেন। মাসখানেক আগে লামামেউহারী গ্রামের আবদুল হাই এই গোপাটের একটি অংশে দেয়াল নির্মাণ করেন। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন এতে বাধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
লামামেউহারী গ্রামের বাসিন্দা খুরশিদ মিয়া (৬০), রতন মিয়া (৪০), চঞ্চল মিয়া (৩০) বলেন, এই গোপাটটির জায়গা সরকারি। শতবছর ধরে এলাকার মানুষজন বিভিন্ন কাজে এটি ব্যবহার করে আসছেন। আমাদের গ্রামের আবদুল হাই নিজের আর্থিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এই সরকারি গোপাটটিতে দেয়াল নির্মাণ করেছেন। দেয়ালের একটু স্থান ফাঁক রাখা হয়েছে। যেখানে মা বোনদের খুব কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সরকারি গোপাট থেকে এই দেয়ালটি অপসারণ করা হোক।
লামামেউহারী গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি শুধুমাত্র সরকারি গোপাটই নয়, বিভিন্ন সরকারি খাস জায়গা দখল করে একাধিক ভবন নির্মাণ করেছেন। আমি এ নিয়ে বৃহ¯পতিবার বিকেলে ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
লামামেউহারী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাই বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। আমি আমার ব্যবসার নিরাপত্তার কথা ভেবে এই দেয়াল নির্মাণ করেছি। প্রয়োজনে আমি তা ভেঙে ফেলে দেব। এলাকার অনেকেই সরকারি জায়গা ও গোপাট দখল করে আছে। আমি চাই এগুলোও দখলমুক্ত হোক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য অ্যাসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।