1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নিত্যপণ্যে নাভিশ্বাস

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

শহীদনূর আহমেদ ::
দীর্ঘদিন ধরে চড়া শাকসবজি ও নিত্যপণ্যের বাজার। বাজারে ৫০ টাকার নিচে মিলছেই না কোনো সবজি। পাশাপাশি চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজসহ অধিকাংশ পণ্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এর মধ্যে রমজান মাসকে ‘টার্গেট’ করে নিত্যপণ্যের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে নিত্যপণ্য কিনতে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস। চলতি রমজানের শুরুতেই মধ্যবিত্ত থেকে নি¤œবিত্ত পরিবারগুলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।
সাধারণ মানুষজনের সাথে আলাপ করে জানাযায়, ২০২২ ও ২০২৩ সালের রমজানের চাইতে চলতি বছর রমজান মাসে চার সদস্যের একটি পরিবারের ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। মুদিদোকান থেকে শুরু সবজি, ফল, ইফতারি বাজার সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চল যাচ্ছে। রমজানে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, খেজুর, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রমজানের ইফতারি বাজারে। গেল বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ইফতারি পণ্য। গেল বছর যে সাধারণ খেজুর ১৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে এবার তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২২০ টাকায়। কিছুটা উন্নতমানের দাবাশ খেজুর প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় যা গেল বছর বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকায়।
বৃহ¯পতিবার সুনামগঞ্জ শহরের ইফতারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকল প্রকারের ইফতারি পণ্যের দাম বেশি। প্রতি কেজি চানা ২৪০, পেঁয়াজু ১৯০-২০৯ টাকা, জিলাপি ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা, পোলাও ২৮০- ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গেল বছর বেগুনি, বিভিন্ন ধরনের বড়া, আলোর চপ ৫ টাকা পিস বিক্রি হলেও এবার তা বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়।
ইফতারি বাজার কিনতে আসা কাওসার আহমদ নামের এক ভোক্তা বলেন, আমার দোকানের কর্মচারীদের জন্য ইফতারি পণ্য কিনতে এসেছিলাম। সব পণ্যের দাম বাড়তি। ৬-৭ জনের ন্যূনতম ইফতারি আইটেম কিনতে ৬০০-৭০০ টাকা লাগে। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস বাড়বে।
সুনামগঞ্জ শহরের কয়েকটি পয়েন্টের সবজি ও ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি হালি লেবু আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকায়। শসা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকায়। মাল্টা কেজি প্রতি ৪০০ টাকা, আনারস প্রতি পিস ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
রেহান উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, রোজার মাসের ফলমূল খাবেন তার উপায় নেই। সবকিছুর দাম বাড়তি। নিত্যপণ্যের বাজারতো আরও লাগামহীন। সাধারণ ভোক্তাদের অভিযোগ নিয়মিত বাজারে মনিটরিং না হওয়াতে অধিক মুনাফা লাভের জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িযে দিচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অর্থনীতির ঊর্ধ্বগামিতার কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল হচ্ছেনা। ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু হলে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
এদিকে বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে খোলাবাজারে প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com