স্টাফ রিপোর্টার ::
ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে সরকারি খাল ভরাট করে স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালীর চক্রের বিরুদ্ধে। এতে এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ওই খালে মাটি ভরাটের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য আইনী পদক্ষেপ নিয়েছেন, গোবিন্দগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল।
গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইদুর রহমান সুমনের মাধ্যমে খালে মাটি ভরাটের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক, ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানার ওসিসহ ১০ জনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতকের উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, এটা সরকারি খাল ঠিক নয়, রেকর্ডে বলা আছে সরকারের খাল। রাস্তার পাশ থেকে মাটি তোলার ফলে যে খাল সৃষ্টি হয়ে থাকে এটা সেরকম। গরু বাজার না থাকায় এমপি মহোদয়ের একটি প্রকল্প দিয়ে গরু বাজার তৈরির প্রস্তাব ছিল। কোন ব্যক্তি নয়, বাস্তবায়িত হলে এটি উপজেলা পরিষদ করবে। তবে আপত্তি আসায় সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে ওয়াটসঅ্যাপে উচ্চ আদালতের একজন আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছি।
স্থানীয়রা জানান, ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দগঞ্জ সেতু সংলগ্ন সরকারি ‘নয়ন জুলি খাল’। এ খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়ে পাশের ‘বটের খাল’ নদীতে পড়ে। তবে সরকারি খালটি প্রায় মৃত। এই সুযোগে স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষ্যে খাল ভরাটের চেষ্টা চলছে। এই খাল ভরাট হলে বর্ষাকালে আশপাশের বাসা-বাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। খাল ভরাটে আপত্তি করায় প্রভাবশালী চক্রটি প্রতিবাদকারীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে।
গোবিন্দগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল বলেন, নদী-নালা, খাল, এমনকি ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরও ভরাট না করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়াও সড়ক, মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও জেলা সড়কের ঢালুর উভয়পাশে অন্তত ১০ মিটার এলাকায় পর্যন্ত কোন স্থাপনা না থাকার মর্মে উচ্চ আদালতের একাধিক রায় রয়েছে। এসব কিছু উপেক্ষা করে সড়কের পাশের খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করায় আইনী প্রতিকার চেয়েছি। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রের আইন ও আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে আন্তরিক হবেন।