1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

রমজান মাসের প্রভাব : বিদ্যালয়ে আসছেনা শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী আসছেনা। শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা থাকছে। অলস সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষকরা। তবে এই সময়ে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকার নূরানি শিক্ষা কেন্দ্রে শিশুদের উপস্থিতি দেখা গেছে। অনেক অভিভাবক বিদ্যালয়ে এসে এই অনুপস্থিতির জন্য উপবৃত্তির টাকা যাতে শিক্ষকরা না কর্তন করেন অনুরোধ করে যাচ্ছেন। রোজার কারণেই মুসলিম অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না বলে জানালেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা না আসায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিভাবকরাও ফাঁকা স্কুলে সন্তানদের কম পাঠাচ্ছেন।
সরেজমিনে গত ১৩ ও ১৪ মার্চ সুনামগঞ্জ শহরের কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা। দোতলায় ওঠে দেখা গেল তৃতীয় শ্রেণির কক্ষে ৩য় ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণিতে ৫জন আর ২য় শ্রেণির ৪জন শিক্ষার্থী এসেছে। প্রতিটি শ্রেণিতেই ২৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী আছে এই বিদ্যালয়ে। এখান থেকে বেরিয়ে শহরের কেবি মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০টা ২৫ মিনিটে গিয়ে দেখা যায় প্রাক প্রাথমিক কক্ষে ৫জন শিক্ষার্থী এসেছে। প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষক তাদের সঙ্গে বিভিন্ন খেলনা নিয়ে কথা বলছেন। এই শ্রেণিতে ২১জন শিক্ষার্থী আছে। বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ঢুকে দেখা গেল ৩৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এসেছে মাত্র ৮জন।
পরে দেওয়ান হাসনরাজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল পৌনে ১১টায় গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। শিক্ষক অশেষ পাল ৫ম শ্রেণির কক্ষে আছেন। তার সামনে ৪জন শিক্ষার্থী। এই শ্রেণিতে ২৪জন শিক্ষার্থী আছে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে ঢুকে দেখা গেল ৪০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত মাত্র ৮জন। এভাবে অন্য শ্রেণিতেও উপস্থিতির চিত্র কম। খোঁজ নিয়ে জানা গেল অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চিত্রও একই রকম।
পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান শমছু বলেন, এই বিদ্যালয়ে পয়লা রমজান থেকে ৫ ভাগের এক ভাগ শিক্ষার্থীও আসছেনা। আমার নাতিকে পয়লা দিন নিয়া এসে দেখি কেউ নাই। মুসলমান অভিভাবকদের অনেকেই সন্তানদের মক্তবে, নূরানি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তেঘরিয়া হাসনরাজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অশেষ চন্দ্র পাল বলেন, গত দুই তিনদিন থেকেই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম। এক চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীই কোন শ্রেণিতে আসছেনা।
কে. বি. মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার খুবই কম। অভিভাবকদের ডেকে এনে জিজ্ঞেস করলে বলেন নূরানী কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুন রশিদ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়গুলোতে এসে অনেক অভিভাবক অনুরোধ করছেন এই একমাস তারা সন্তানদের দারুল ক্বেরাতে পাঠাবেন। তাদের সন্তানদের উপবৃত্তির টাকা যেন আমরা কর্তন না করি।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনামুর রহিম বাবর বলেন, গত দুইতিন দিন ধরে উপস্থিতি খুবই কম। আমি নিজেও একাধিক বিদ্যালয় ঘুরে এই চিত্র দেখেছি। তবে শিক্ষকরা আন্তরিকভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com