স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের উজ্জ্বলপুরে মাটির রাস্তা ধসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তাদের পুরনো সড়কে এবার মাটি ফেলে রাস্তাটি সংস্কার করেছিল। সড়কটি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ হিসেবেও কাজ করে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুই দশক আগে জামালগঞ্জ সুনামগঞ্জ সড়কটি নির্মিত হয়। সুরমা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানের কারণে প্রতি বছরই সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় সড়কটি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক হিসেবে চিহ্নিত এটি। এবার আসন্ন বোরো মওসুমকে সামনে রেখে এখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাটি দিয়ে সড়কটির সংস্কার কাজ করে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নদীর তীরের পাশাপাশি সড়কটির একপাশে একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন গহীন পুকুর রয়েছে। পুকুরের কারণেই মাটির সড়কটি ধসে গেছে। মাটি দেয়ার সময় পুকুরে শ্যালু মেশিন লাগিয়ে সেচার কারণে ধস নামে বলে জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান বলেন, এটি একটি উপজেলা সড়ক। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নিজস্ব সড়কটিতে এবার মাটির কাজ করেছে। পুকুরের পানি সেচার কারণে মাটির বাঁধ ধসে গেছে। তবে আবারও নতুন করে মাটি দিয়ে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
পুকুরের মালিক মো. মিটন মিয়া জানান, আমি আমি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পুকুরটি নিয়েছি। কিন্তু রাস্তাটি ধসে যাবে বিধায় পানি সেচের জন্য আমি মেশিন লাগাইনি। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের আনিস স্যার ও মিলন স্যার মিলে আমাকে চাপ দিচ্ছিলেন আমি যেন পুকুরে মেশিন লাগাই। তাদের পিড়াপিড়িতে আমি মেশিন লাগাইছি। লাগানোর দুদিন পরেই আজ রাস্তাটি ধসে পড়ছে। উনারা বলছে যে এটার দায়-দায়িত্ব উনাদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, এইখানে গত মাসে ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে কাজ করা হয়েছে। কিন্তু পাশে ৪০ ফুট গভীর একটি পুকুর থাকাতে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে বলে পুকুরের পানি সেচ দিয়ে এখানে মাটি ভরাট করা হবে। আগের বরাদ্দে হবে নাকি নতুন বরাদ্দ লাগবে জিজ্ঞেস করলে ইউএনও জানান, আগের ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ শেষ। নতুন করে উপজেলা ফান্ড থেকে আবারো বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।