স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার চলমান হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেছি। অনেক জায়গাতেই মাটি ভরাট কাজ চলছে। তবে কমপেকশন ঠিকমতো হচ্ছে না, স্লোভও ঠিক নেই। মনিটরিং জোরদার করে এসব কাজ স¤পন্ন করার ও আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
জেলা প্রশাসক বলেন, বিভিন্ন ক্লোজারগুলো পরিদর্শন করার জন্য আলাদাভাবে এডিসিদের সমন্বয়ে বিশেষ কমিটি করে দিয়েছি। আগে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পরে সমাধান করতে হবে। যেগুলোর কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আগে করারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্য বজায় রেখেই বাঁধের কাজ স¤পন্ন করতে হবে। ভবিষ্যতে কিভাবে স্থায়ী সমাধান করা যায় সেটি চিন্তা করতে হবে এখনই। পিআইসির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করলে কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই বিল পরিশোধ করারও আহবান জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জেলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ডিডিএলজি দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ১ মোঃ মামুন হাওলাদার, নির্বাহী প্রকৌশলী ২ এমদাদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুল মোমেন, আবু সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তফা আজাদ, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক একে আজাদ, নারীনেত্রী গৌরী ভট্টাচার্য, কাশমির রেজা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার ৭৩৪টি পিআইসির মাধ্যমে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ চলমান আছে। এ পর্যন্ত ৬৩.৫০ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে বলে সভায় দাবি করা হয়।